রাজস্ব আয় বাড়াতে নতুন কর্মপন্থা ঠিক করেছে এনবিআর। সুনিদিষ্ট সংস্কার উদ্যোগ তৈরি করে তা বাস্তবায়নে শুরু হয়েছে তোড়জোর। করোনার কারণে গেল দুই বছরের বেশি সময় ধরে থমকে যায় সংস্কার কার্যক্রম। ফলে কাঙ্খিত মাত্রায় রাজস্ব আদায় করা যায়নি। অভ্যন্তরীণ আয় বাড়াতে করকাঠামো সংস্কারের পরামর্শ দিয়ে আসছে আইএমএফ।
বাজেট বাস্তবায়ন এবং সরকার পরিচালনা ব্যয় মেটাতে চাপের মুখে সরকার। ব্যয় কমিয়ে এবং দেশি-বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নিয়ে খোঁজা হচ্ছে সংকট থেকে উত্তোরণের পথ। আর্থিক এই টানাপড়েনে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আয় বাড়াতে মরিয়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, এনবিআর। তৈরি করা হয়েছে ৫টির বেশি কর্মকৌশল। গুরুত্ব পেয়েছে অনলাইনে রাজস্ব আদায়ের দিক। উৎসে কর, ভ্যাটসহ নানা ক্ষেত্রে আসছে পরিবর্তন। এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসিরউদ্দিন বলছেন, এতদিনে অটোমেশন করা গেলে এর আরও সুফল পাওয়া যেতো।
ব্যয় সামাল দিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছে সরকার। তবে ঋণ দেবার ক্ষেত্রে সংস্থাটির অন্যতম শর্ত রাজস্ব খাতের সংস্কার। সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলছেন, এনবিআরের এই সংস্কার পদক্ষেপ আইএমএফের ঋণের শর্ত পূরণে সহায়তা করবে। তবে ডিজিটালাইজেশনে পিছিয়ে পড়ায় বর্তমান আর্থিক চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়বে। এই মুহূর্তে বর্ধিত মাত্রায় রাজস্ব আদায় করা না গেলে সরকারের কর্মকাণ্ড ব্যহত হবে।
মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আদায়ে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এখনও দেয়া যায়নি ইএফডি যন্ত্র। অন্যদিকে মানুষের সম্পৃক্ততা ছাড়া অনলাইনে কর আদায়ের কৌশলও হাতে নিতে পারেনি এনবিআর।
/এডব্লিউ
Leave a reply