দেশ থেকে পালানোর সময় পিপলস লিজিং থেকে টাকা আত্মসাৎকারী ২ নারী প্রতারককে রাজধানীর ধানমন্ডি ও শ্যামলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বুধবার (২৪ আগস্ট) ভোরে দেশত্যাগের চেষ্টা করার সময় ওই দুই নারীকে আটক করা হয়। দুপুরে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের মিডিয়া পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি জানান, পিপলস লিজিং এর পরিচালক খবির উদ্দিন। এই খবির তার ছেলে-মেয়েদের নামে পিপলস লিজিং থেকে ২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। তার দুই মেয়ে শারমিন আহমেদ (৪২) ও তানিয়া আহমেদ (৩৭) যারা কানাডাতে দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করছেন। তারা গত জুলাই মাসে দেশে আসেন। গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা করছিলেন তারা। তাদের ওপর আগে থেকেই গোয়েন্দা নজরদারি ছিল। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে তারা ছদ্মবেশে আবারও কানাডা যাবার চেষ্টা করলে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব। পিকে হালদার পিপলস লিজিং থেকে তার সহযোগীদের মাধ্যমে টাকা লোপাট করতো বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর হাতে গ্রেফতার হন পিকে হালদারের বান্ধবী অবন্তিকা বড়াল। একই বছরের ১৬ মার্চ বিকেলে রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেফতার হন পিকে হালদারের আরেক বান্ধবী ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট নাহিদা রুনাই।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মে কলকাতায় গ্রেফতার করা হয় বাংলাদেশ থেকে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎকারী পলাতক পিকে হালদারকে। তার সাথে আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করে ভারতের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। দুদকের মতে, পিকে হালদার আইএলএফএসএল থেকে প্রায় ৩৫০০ কোটি টাকা, এফএএস ফাইন্যান্স থেকে ২২০০ কোটি টাকা, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স থেকে ২৫০০ কোটি টাকা এবং পিপলস লিজিং থেকে ৩০০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ভারতের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের মতে, ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে ভারতে বসবাস করছিলেন পিকে হালদার।
/এসএইচ
Leave a reply