ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রের পরিস্থিতি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের পারমাণবিক বিপর্যয়। এমন শঙ্কা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। কেন্দ্রটিতে হামলা নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ অব্যাহত রেখেছে কিয়েভ-মস্কো। শুক্রবারও (২৬ আগস্ট) বেশ কয়েকটি গোলা আঘাত হানে সেখানে। সংঘাতের মধ্যে তেজস্ক্রিয়তার শঙ্কায় চরম আতঙ্কে দিন কাটছে জাপোরিঝিয়ার বাসিন্দাদের।
দু’দিন আগে হঠাৎই জাপোরিঝিয়া পাওয়ার প্ল্যান্টের আশপাশের অঞ্চলে বেজে ওঠে সতর্ক সংকেত। গোলাবর্ষণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের জেরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ইউরোপের সবচেয়ে বড় পাওয়ার প্ল্যান্ট। কয়েক ঘণ্টা অন্ধকারে সময় কাটে প্রায় ১৮ হাজার মানুষের। শুক্রবার চালু হয় দু’টি রিঅ্যাক্টর ইউনিট।
এ ঘটনার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করছে কিয়েভ। প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কির দাবি, পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক ও উদ্বেগের। গতকালের মতো কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে বড় বিপর্যয় হতে পারে। যত শিগগির সম্ভব আইএইএ মিশন জরুরি। আমাদের মিত্ররা প্ল্যান্টের সুরক্ষায় লড়ছে। রাশিয়ার ব্ল্যাকমেইলিংয়ের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার জন্য কৃতজ্ঞ।
বিপরীত দিকে রাশিয়ার অভিযোগ, ইউক্রেনই একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পরমাণু কেন্দ্রটিতে। রুশ গণমাধ্যম বলছে, শুক্রবারও কিয়েভের সেনাদের ছোড়া ১০টি গোলা আঘাত হেনেছে জাপোরিঝিয়া প্ল্যান্টের স্পর্শকাতর জায়গায়।
ইউরোপের সবচেয়ে বড় পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র জাপোরিঝিয়ায় প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থা। অঞ্চলটিতে শিগগিরই পর্যবেক্ষণ মিশন নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আইএইএ প্রধান।
জেডআই/
Leave a reply