হাজতখানা বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে অন্ধকারাচ্ছন্ন কক্ষ আর ভেতরে আটকা অপরাধী, এমন এক ছবি। তবে চট্টগ্রামে কোতোয়ালী থানার হাজতখানার চিত্র পাল্টে দেবে মানুষের ধারণা। হাজতখানার পাশেই সুসজ্জিত লাইব্রেরি পুরো পরিবেশে এনে দিয়েছে ভিন্ন আবহ। সাজানো টেবিল চেয়ারে বসে পড়ার জন্য রয়েছে শত শত বই। পড়তে পারেন পুলিশ, আসামি, সেবাপ্রার্থী সবাই। সিএমপির এ উদ্যোগ প্রশংসিতও হচ্ছে।
চট্টগ্রাম নগরীর ১৬ থানায় গড়ে তোলা হয়েছে একটি করে লাইব্রেরি। যেখানে অপরাধীদের হাতে পিস্তল কিংবা মাদকের বদলে তুলে দেয়া হয় বই। অপরাধী সত্তাকে পরিশুদ্ধ করার আশাবাদ থেকেই নেয়া হয়েছে এমন উদ্যোগ।
সিএমপির প্রতিটি থানার প্রবেশমুখে ছোট্ট কক্ষে স্থাপিত লাইব্রেরির তাকে তাকে সাজানো গল্প কবিতা ইতিহাস, অপরাধ, আইন বিষয়ক বই। সাজানো টেবিল চেয়ারে বসে পড়তে পারেন দর্শনার্থী, সেবাপ্রার্থী থেকে শুরু করে পুলিশ সদস্যরাও। মাস দুয়েক আগে এই লাইব্রেরি গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন সদ্য বদলি হওয়া সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। এখনও চলছে নতুন বই সংগ্রহের কাজ।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আতিকুর রহমান বলেন, শুধু শাস্তি দিয়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। বই পড়া আসামিদের মনোজগতে পরিবর্তনের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদেরও মননশীল হতে সহায়ক হবে। একই কথা বলছেন চট্টগ্রাম বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমানও। বলছেন, বই পড়া আসামিদের অপরাধ জগত থেকে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।
/এডব্লিউ
Leave a reply