একগুচ্ছ চ্যালেঞ্জ নিয়ে ডাউন স্ট্রিটে যাচ্ছেন লিজ ট্রাস

|

কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বে লিজ ট্রাস; হচ্ছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

বিপর্যস্ত অর্থনীতির হাল ধরার অঙ্গীকার নিয়ে যুক্তরাজ্যের সরকার প্রধান হচ্ছেন কনজারভেটিভ নেতা মেরি এলিজাবেথ ট্রাস। দায়িত্ব নিচ্ছেন দেশটির তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। একগুচ্ছ চ্যালেঞ্জ নিয়ে ডাউনিং স্ট্রিটে প্রবেশের আগে দেশবাসীকে আশ্বাসের বাণী শুনিয়েছেন লিজ ট্রাস। জানালেন, ভঙ্গুর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নেবেন জোরালো পদক্ষেপ। খবর রয়টার্সের।

কয়েক ধাপে ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে লিজ ট্রাসকে নেতা হিসেবে বাছাই করলেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা। সাবেক অর্থমন্ত্রী, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাককে হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে অভিষেক হচ্ছে ৪৭ বছর বয়সী লিজ ট্রাসের।

তিনি এমন এক সময়ে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায় বসছেন, যখন করোনা মহামারি, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা ইস্যুতে ভঙ্গুর দশায় ব্রিটিশ অর্থনীতি। রেকর্ড মূল্যস্ফীতিতে নাজেহাল বাসিন্দারা। চরমে পৌঁছেছে বেকারত্ব।

লিজ ট্রাস বলেন, কনজারভেটিভ নেতা হিসেবে প্রচারণা চালিয়েছি। আর কনজারভেটিভ হিসেবেই আগামী দুই বছর সরকার পরিচালনা করবো। করের হার কমিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য শক্তিশালী পরিকল্পনা নেয়া হবে।

পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির জয়ের ব্যাপারেও আত্মবিশ্বাসী লিজ ট্রাস। বললেন, আমি জানি আমরা পারবো। ২০২৪ সালের নির্বাচনে বড় জয় হবে কনজারভেটিভ পার্টির।

পারিবারিকভাবেই রাজনীতি সচেতন ছিলেন লিজ। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে আন্দোলন করেছিলেন তার মা। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে লিজের পড়াশোনার বিষয় ছিল দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি। ছাত্রজীবনে লিবারেল ডেমোক্র্যাট হিসেবে শুরু হয় তার রাজনৈতিক জীবন। ১৯৯৬ সালে যোগ দেন কনজারভেটিভ পার্টিতে। ২০১০ সালে নির্বাচিত হন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, থেরেসা মে ও বরিস জনসন সরকারের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।

এবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে কতটা ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারেন সেটাই দেখার বিষয়।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply