থাইল্যান্ডে কাজ হারিয়ে বেকার কয়েক হাজার হাতি

|

ছবি: সংগৃহীত।

পর্যটকদের নানা কসরত দেখানোর জন্য থাইল্যান্ডে হাতির ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে করোনার কারণে দেশটির পর্যটন খাতে ধস নামায় কাজ হারিয়েছে কয়েক হাজার হাতি। আয় না থাকায় হাতিগুলোকে প্রতিদিন খাওয়াতে হিমশম খাচ্ছেন মালিকরা। খবর এবিসি নিউজের।

থাইল্যান্ডের পর্যটন খাতে সবচেয়ে বড় আঘাত আসে করোনাকালে। করোনায় গত আড়াই বছর ধরেই দেশটিতে আশঙ্কাজনক হারে কমেছে পর্যটকের সংখ্যা। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালে থাইল্যান্ডে ঘুরতে যান অন্তত চার কোটি বিদেশি পর্যটক। করোনার কারণে গত বছর তা কমে দাঁড়ায় চার লাখে। এ পরিস্থিতিতে হাতি নিয়ে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয়েছেন অনেকেই। আয় বন্ধ হওয়ায় বিপাকে হাতির মালিকরা। প্রাণীগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের খরচ জোগাতে হিমশমি খাচ্ছেন অনেকেই।

এ নিয়ে ওয়াইল্ডলাইফ ফ্রেন্ডস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এডউইন উয়েক বলেন, বর্তমানে থাইল্যান্ডের অন্তত এক হাজার হাতির কোনো আয় নেই। বেকার হাতিগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের খরচ জোগার করা অনেক পরিবারের জন্যই কঠিন। তাদের থাই সরকারের কৃষি ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে এগিয়ে আসা উচিত।

একেকটি হাতি গড়ে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৪০০ কেজি ঘাস ও ফল খায়। প্রিয় প্রাণীগুলোকে বাঁচাতে অনেকেই বেছে নিয়েছেন বিকল্প পথ। কেউ কেউ টুইটার-ইউটিউবে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে হাতির কসরত দেখিয়ে অর্থ আয়ের চেষ্টা করছেন। তবে যে আয় হয় তা খুবই সামান্য। এ নিয়ে সিরিপর্ন সাপম্যাক নামের হাতির একজন মালিক বলেন, আমাদের একটাই আশা, আবারও পর্যটকে মুখর হোক থাইল্যান্ড। সব আগের মতো হয়ে গেলে আমরা আর এই লাইভ স্ট্রিমিং করবো না। এভাবে খুব একটা আয় হয় না। আমরা আমাদের আগের কাজে ফিরে যেতে চাই যাতে দিনশেষে একটা নির্দিষ্ট অর্থ কামাতে পারি।

এ বিষয়ে থাই সরকারের দাবি, করোনা শুরুর পর এ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রদেশে ৫ লাখ কেজি ঘাস সরবরাহ করা হয়েছে। তবে হাতির মালিকরা বলছেন, এখন পর্যন্ত তারা কোনো সহায়তাই পাননি।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply