ইজিউমে ৪৫০ গণকবরের সন্ধান, হাজারের বেশি মানুষকে মাটি চাপার অভিযোগ

|

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের ইজিয়ুম শহরে চালানো হয়েছে নাৎসী আমলের বর্বর নির্যাতন। গণকবর থেকে তোলা দেহাবশেষ যাচাই-বাছাইয়ের পর মিলেছে এসব তথ্য। প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কিও জানিয়েছেন, শহরটিতে পাওয়া গেছে অন্তত ১০টি মধ্যযুগীয় টর্চার সেল। এদিকে, পূর্বাঞ্চলের ফ্রন্টলাইনে সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলে অভিযান জোরালো করার তথ্য দিলো রাশিয়া।

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন কবজায় রাখতে মরিয়া রাশিয়া। তাই ফ্রন্টলাইনে সেনা পুনর্বিন্যাসের পাশাপাশি বাড়ানো হচ্ছে প্রদেশটির বিভিন্ন শহরে সামরিক অভিযান। তাছাড়া, জাপোরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্র দখলে রাখতেও রয়েছে পুতিন বহরের কড়া নজরদারি। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুসারে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনীয় বিভিন্ন শহরে বাড়ানো হয় অভিযানের কলেবর। মিলেছে নানা ফ্রন্টলাইনে সাফল্য।

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাশেনকভ বলেন, খেরসন অঞ্চলের বেশকিছু গ্রাম-লোকালয়ে অব্যাহত রয়েছে রুশ সামরিক অভিযান। গেলো ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছে সাড়ে তিনশো ইউক্রেনীয় সেনা। সাতটি ট্যাংক এবং ৩৬টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস করা হয়েছে। তাছাড়া, দোনেৎস্ক এলাকায় অব্যাহত রয়েছে বিমান হামলা। জাপোরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রে সম্ভাব্য তেজস্ক্রিয় দুর্ঘটনার জন্য ওত পেতে আছে কিয়েভ প্রশাসন। চালিয়ে যাচ্ছে উসকানিমূলক নাশকতা।

তবে রুশবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার পর নাৎসী কায়দায় বর্বর নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছে কিয়েভ প্রশাসন। জানিয়েছে, সদ্য দখলমুক্ত হওয়া খারকিভে মিলেছে মধ্যযুগীয় টর্চার সেলের সন্ধান।

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, ইজিউমের গণকবরে পাওয়া দেহাবশেষগুলোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। হত্যার আগে তাদের ওপর বর্বর নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে ফরেনসিক বিভাগ। তাছাড়া, খারকিভ অঞ্চলে রুশ বাহিনীর অন্তত ১০টি টর্চার সেল পেয়েছি আমরা। নাৎসি বাহিনী যে কায়দায় নির্যাতন চালাতো, পাওয়া গেছে সেসব ইলেকট্রনিকস সরঞ্জাম।

ইউক্রেনীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার দিমিত্রো লুবিনেৎসের তথ্য অনুসারে, এখন পর্যন্ত ইজিউমে মিলেছে সাড়ে ৪শ’ গণকবর। যেখানে, নারকীয় অত্যাচারের মাধ্যমে হত্যার পর মাটি চাপা দেয়া হয়েছে হাজারের বেশি মানুষকে।

আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে গণহত্যার অভিযোগ ইইউ’র

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply