চারদিক থেকে আসছে রুশ সেনাদের পিছু হটার খবর, তবে কি চাপে পড়েছেন পুতিন?

|

ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইনে নামার জন্য জোরালো প্রশিক্ষণে ব্যস্ত রুশ রিজার্ভ ফোর্সের সেনারা। কেউ শিখছেন অস্ত্র চালনার কায়দা, তো কারো হাতে দুধর্ষ মিসাইল। এরই মধ্যে খাবারোভস্ক শহরের সামরিক প্রধান টেলিগ্রামে দিলেন চাঞ্চল্যকর পোস্ট। তার দাবি, সংরক্ষিত বাহিনীতে যোগ দেয়া বেসামরিক রুশদের অনেকেই অযোগ্য প্রমাণিত হয়েছেন। তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করায়, খাবারোভোস্ক শহরের সামরিক প্রধানকে বরখাস্ত করা হয় বলে খবর প্রকাশ করেছে ফোর্বস। এদিকে ইউক্রেনের নানা ফ্রন্টলাইন থেকে আসছে রুশ সেনাদের পিছু হটার খবর। এ পরিস্থিতিতে বিশ্লেষকদের অভিমত, তাহলে কি চাপে পড়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন?

খবরটি ধামাচাপা দিতেই রাতারাতি বরখাস্ত করা হয় ইউরি সের্গেভিচ নামের ঐ কর্মকর্তাকে। রুশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাতে কোনো ধরনের প্রভাব পরবে না সেনা নিয়োগে। খাবারোভস্কের গভর্নর মিখাইল দেগতিয়ারেভ বলেন, গেলো ১০ দিনে নাগরিকদের কাছে পৌঁছেছে সংরক্ষিত বাহিনীতে যোগদানের নোটিশ। তারা সামরিক নিবন্ধন এবং তালিকাভুক্তির জন্য নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট পুতিনের লক্ষ্য অর্জনে সেনারা বদ্ধপরিকর। অঞ্চলের সামরিক প্রতিনিধি ইউরি সের্গেভিচ লাইকোকে বরখাস্ত করার কথাও জানান তিনি। বলেন, তবে এ ঘটনা নিয়োগ পদ্ধতিতে খুব একটা প্রভাব ফেলবে না।

সম্প্রতি ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে আসছে রুশবহরের পিছু হটার খবর। সেনাবাহিনীর জয়গানের পাশাপাশি জেলেনস্কি প্রশাসন বলছে, দখলকৃত সব এলাকা পুনরুদ্ধার করা হবে। বিশ্লেষকদের অভিমত, এর মাধ্যমে যুদ্ধে রাশিয়ার কোণঠাসা পরিস্থিতি স্পষ্ট হচ্ছে।

ইউক্রেনীয় মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী ওলেক্সান্দ্রা মাতভিশুক বলেন, ইউক্রেনে রুশবহরের সাম্প্রতিক পরাজয় প্রমাণ করে অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়াত্বের পথে হাঁটছে রাশিয়া। তবুও দেশটির ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা জরুরি। কারণ, যুদ্ধক্ষেত্রে এখনও অর্থ সরবরাহ বন্ধ করা যায়নি। তাছাড়া আমরা ন্যায়বিচার চাই। যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত রুশ কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি করার মাধ্যমে অঞ্চলটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

রোববারই খেরসন অঞ্চলের দুটি শহর দখরমুক্ত করার ঘোষণা দেয় ইউক্রেন। মাত্র একদিন আগেই পুনরুদ্ধার করা হয় গুরুত্বপূর্ণ শহর লিম্যান। সেখানে উড়ছে ইউক্রেনের জাতীয় পতাকা। চলমান যুদ্ধে রুশবহরের অস্ত্র-সরঞ্জাম সরবরাহের অন্যতম কেন্দ্র ছিল শহরগুলো।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply