হিজাব বিতর্কে অগ্নিগর্ভ ইরান। ইরানের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছে পশ্চিমারাও। তবে আন্দোলনের মোড় এবার ঘুরতে শুরু করেছে। নারী স্বাধীনতাকে ছাপিয়ে বিক্ষোভকারীদের দাবি এখন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির পদত্যাগ। তবে সরকারের দাবি, পশ্চিমাদের ইন্ধনেই চক্রান্ত শুরু করেছে একটি পক্ষ। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
শনিবার (৮ অক্টোবর) ইব্রাহিম রইসি ইরানের আলজারাহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যান। এ সময় সেখানে সক্রিয় হয়ে ওঠে হিজাব বিরোধী বিক্ষোভকারীরা। ইব্রাহিম রইসিকে উদ্দেশ্য করে ‘গেট লস্ট রইসি’ স্লোগানে মুখরিত হয় ক্যাম্পাস।
এদিন আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন প্রেসিডেন্ট রইসি। চলমান বিক্ষোভের পেছনে অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরও সতর্ক করেন তিনি। হিজাব ইস্যুতে আন্দোলনে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ধন রয়েছে বলেও দাবি রইসির।
এদিকে, ইরানে হিজাব ইস্যুতে আটক তরুণী মাহশা আমিনির মৃত্যুর জেরে শুরু হওয়া বিক্ষোভ প্রবেশ করলো চতুর্থ সপ্তাহে। শনিবারও দু’টি শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে দুই জন। বিক্ষোভকারীদের দমনে গুলি ও টিয়ার শেল ছোড়ায় হয় হতাহতের ঘটনা।
এ পরিস্থিতির মধ্যেই নিহত ওই তরুণীর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এসেছে। ফরেনসিক রিপোর্টে দাবি করা হয়, মাহশার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পুলিশের মারে নয়, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে মাহশার। এ অসুস্থতা অনেক আগে থেকেই ছিল তরুণীর।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর হিজাব ভালোভাবে না পরার অপরাধে আটক করা হয় মাহশাকে। এর তিনদিন পর মৃত্যু হয় মাহশার। মাহশার পরিবারের দাবি ছিল, তাকে মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তবে এ দাবি নাকচ করে দেয় প্রশাসন।
এ ঘটনায় ফুঁসে ওঠে দেশটির নারীরা। হিজাব পুড়িয়ে ও চুল কেটে এর প্রতিবাদ করছেন তারা। এর সাথে যুক্ত হয়েছে পশ্চিমারাও। তবে কঠোর হাতে আন্দোলন দমন করতে সচেষ্ট ইরানের সরকার।
এসজেড/
Leave a reply