বহুমুখী বিশ্বে রাশিয়া মূল ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে: পুতিন

|

বহুমুখী বিশ্বে মূল ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে এশিয়া। সেখানে বিদ্যমান শক্তিগুলো নতুনভাবে প্রভাবশালী হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) কাজাখস্তানে হওয়া আঞ্চলিক দেশগুলোর জোট সিআইসিএ এর বার্ষিক সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর রয়টার্স ও এপির।

কাতারের আমির এবং তুর্কি প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠক করবেন পুতিন। ধারণা করা হচ্ছে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে জ্বালানি সরবরাহ ত্বরান্বিত করাই মূল উদ্দেশ্য।

এদিকে, কিয়েভসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোয় কমেনি রুশ আগ্রাসন আতঙ্ক। ইউক্রেনের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ইউক্রেনের রাজধানীর ওপর টহল দিচ্ছে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান।

এ অবস্থায় ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির আহ্বানে সাড়া দিয়ে আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ন্যাটো। সম্ভাব্য অস্ত্রের মধ্যে থাকবে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ও রাডার। এর আগে, অত্যাধুনিক বিমান সুরক্ষা ব্যবস্থা পাঠায় জার্মান সরকার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও দিয়েছেন সামরিক সহযোগিতার আশ্বাস।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, গোটা বিশ্ব প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আক্রোশ-বর্বরতার সাক্ষী। ইউক্রেনের বর্তমানে আরও বেশি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োজন। তাছাড়া, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং আর্টিলারি সিস্টেম দরকার। মিত্রদের অনেকেই সহযোগিতা করতে আগ্রহী। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের মজুদ বৃদ্ধি করতে তারা প্রস্তুত।

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টিন ল্যাম্বারেট বলেন, ইউক্রেনকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠিয়েছে জার্মানি। আগামী বছর নাগাদ আরও তিনটি ব্যবস্থা পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। শত্রুপক্ষের মিসাইল হামলা ঠেকাতে সেটি বেশ কার্যকর। সাধারণ জনগণের ওপর যে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানো হচ্ছে, এর মাধ্যমে সেটাও কমানো সম্ভব।

ইউক্রেন যখন সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে ব্যস্ত, সেসময় কূটনীতি ও মিত্রদের সাথে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। কাজাখস্থানে সিআইসিএ এর বার্ষিক সম্মেলনে তিনি বিকল্প গ্যাস রুটের পরিকল্পনার কথাও জানান।

ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, বিশ্ব সত্যিকার অর্থেই বহুমুখী হয়ে উঠছে। যেখানে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত না হলেও এশিয়া অত্যন্ত সুস্পষ্ট ভূমিকা পালন করছে। যেহেতু নর্ডস্ট্রিমের জ্বালানি সরবরাহের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গ্যাস তুরস্কের মাধ্যমে ইউরোপে পৌঁছানো যেতে পারে। ভবিষ্যতে রাশিয়ার মিত্র দেশটি হয়ে উঠবে ইউরোপের অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র।

চলতি সপ্তাহেই বিশ্ববাজারে অবস্থান জোরালো করতে মিত্রদের সাথে দফায়-দফায় বৈঠকে বসছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জানান, কোনো দেশের ক্ষতিসাধণের জন্য নয়, বরং বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতেই জ্বালানি উত্তোলনে কাটছাঁট আনার ঘোষণা দিয়েছে ওপেক প্লাস।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply