রাশিয়ায় সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৪

দ্য টেলিগ্রাফ থেকে সংগৃহীত ছবি।

দক্ষিণ রাশিয়ার ক্রাসনোদার অঞ্চলের শহর ইয়স্কের একটি আবাসিক এলাকায় একটি রুশ মিলিটারি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৪ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছেন। খবর বিবিসির।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) রাতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়য়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

ক্রাসনোদার অঞ্চলের গভর্নর এক টেলিগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন, আমি দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছি। আগুন নেভাতে দমকল বাহিনীকে সর্বশক্তি নিয়োগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ওড়া ওই সু-৩৪ ফাইটার বম্বার বিমানটি ট্রেনিং ফ্লাইটের জন্য উড়ছিলো। এ সময়ই আকস্মিক বিমানটির একটি এঞ্জিনে আগুন লেগে যায়, এবং তার কিছুক্ষণ পরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, বিধ্বস্ত হবার আগেই পাইলট বিমানটি বেরিয়ে যেতে পেরেছেন, তিনি নিরাপদ আছেন।

এরইমধ্যে এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা গেছে, কিছু লোক মাটিতে শুয়ে থাকা একজন পাইলটকে সুশ্রুষা করার চেষ্টা করছেন। ভিডিওতে ওই পাইলটের পাশে একটি প্যারাশুটও দেখা গেছে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ওই বিমান থেকে বেরিয়ে আসা পাইলটের দেয়া রিপোর্ট অনুযায়ী- টেক অফের পরই বিমানটির একটি এঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। আর এতেই বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।

ইয়স্কের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বিমানটি দুটি বিল্ডিং ব্লকের মাঝে বিধ্বস্ত হওয়ায় সেখানে বসবাসরত মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। নিকটতম স্কুলের সব শিক্ষার্থীকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

এদিকে, ইয়স্ক নগর কর্তৃপক্ষকে এ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যার্থে প্রয়োজনীয় সব রকম সহায়তার করার নির্দেশ দিয়েছে ক্রেমলিন। দুর্ঘটনার কারণ জানতে এরইমধ্যে এ ঘটনায় একটি সন্ত্রাসী মামলা দায়ের করে ঘটনাস্থলে একটি তদন্ত দলও পাঠিয়েছে রাশিয়ান ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি।

প্রসঙ্গত, রুশ অধিকৃত দক্ষিণ ইউক্রেনের ঠিক বিপরীতেই ইয়স্কের অবস্থান। এ দুটি অঞ্চল আজভ সাগর দিয়ে বিভক্ত। ইয়স্ক রুশ নেভাল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনিং গ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত।

/এসএইচ