ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: বরিশালে অভ্যন্তরীণ লঞ্চ চলাচল বন্ধ, সাতক্ষীরার ৫ পয়েন্টে ভাঙছে বাঁধ

|

স্যাটেলাইট চিত্রে সিত্রাংয়ের অবস্থান।

আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে ঘূর্ণিজড় সিত্রাং। এর প্রভাব কমবেশি পড়ছে উপকূলীয় সব অঞ্চলে। ফলে নিরাপত্তার জন্য বরিশাল নৌবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের সকল যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। এরই মধ্যে সাতক্ষীরার ৫টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) যেকোনো সময়ে এই ঝড় আছড়ে পড়তে পারে উপকূলে। সোমবারই (২৪ অক্টোবর) মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে।

এদিকে, সাতক্ষীরার প্রতাপনগরে পাঁচটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে। ফলে কপোতাক্ষ নদের পানি ঢুকে প্লাবিত হতে শুরু করেছে বিভিন্ন অঞ্চল। প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে ভোলায় ঘূ‌র্ণিঝড় মোকাবেলা করতে সকল সরকারি দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছু‌টি বা‌তিল ক‌রে কর্মস্থ‌লে থাকার নি‌র্দেশ দেয়া হয়েছে।

দুর্যোগপ্রবণ এ সময়ে সতর্কবার্তা সম্পর্কে ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। রোববার (২৩ অক্টোবর) সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছিল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সোমবার ৬ ও ৭ নম্বর সংকেত জারি হয়। তাই সতর্কবার্তার অর্থ বুঝে সঠিক সময়ে প্রস্তুতি নেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আবহাওয়া অফিসের ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের অর্থ হলো, অল্প বা মাঝারি ধরনের ঝড় হবে এবং আবহাওয়া দুযোগপূর্ণ থাকবে। ঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের উত্তর দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। মংলা বন্দরের ক্ষেত্রে পশ্চিম দিক দিয়ে বয়ে যাবে।

অন্যদিকে, ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয় যখন অল্প অথবা মাঝারি ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা থাকে এবং এ কারণে আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকে। ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রবন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এ সময় বন্দরে তিনটি লাল পতাকা দেখানো হয়।

আরও পড়ুন: জেনে নিন কোন সতর্ক বার্তার অর্থ কী

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply