বিশ্বকাপে মাঠের থেকেও মাঠের বাইরের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সমালোচিত বাংলাদেশের ক্রিকেট। ব্রিজবেনে আপত্তি সত্ত্বেও ক্রিকেটারদের দাওয়াতে অংশগ্রহণে বাধ্য করে বিসিবি। আবার সিডনিতে অনুমতি না থাকার পরও, সাকিব-তাসকিনদের দাওয়াতে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে সরগরম বাংলাদেশ ক্রিকেট। এদিকে, বাংলাদেশের সাথে আইসিসির বিমাতাসূলভ আচরণও প্রশ্ন তুলছে ভক্তদের মনে।
অথচ মাঠের খেলা যেন ঠিক তার উল্টো, বিবর্ণ। বিশেষ করে শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বোলিং-ব্যাটিংয়ে পুরাই নাস্তানাবুদ সাকিব বাহিনী। অধিনায়ক বললেন, আমরা যদি তুলনা করি তাহলে বোলিংয়ের তুলনায় আমাদের ব্যাটিংয়ে সমস্যা বেশি।
পারফরমেন্সের হতশ্রী অবস্থা, মাঠের বাইরে সমালোচনায় জর্জরিত। আইসিসির বিমাতাসুলভ আচরণ। এ যেনো সর্বাঙ্গে ব্যাথা ওষুধ দিবো কোথা! তবে মাঠের থেকে মাঠের বাইরের আলোচনা যেনো হালে বেশি পানি পাচ্ছে সমর্থকদের কাছে। আর সেখানে রসদ যোগাচ্ছেন কখনো ক্রিকেটাররা, কখনো কর্মকর্তারা আবার কখনোবা খোদ বিসিবি!
আরও একবার সমালোচনার পালে হাওয়া দিলেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বিসিবির অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও সিডনিতে এক অনুষ্ঠানে যান তাসকিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে। সেখানে আবার সমর্থকদের সাথে ক্রিকেটারদের ছবি তোলা ও খাওয়া-দাওয়া বিষয়ক বেশ কিছু প্যাকেজের উল্লেখও করা হয়। সেসব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে বিসিবি থেকে। বিশ্বকাপ শেষে ব্যবস্থার কথাও বলা হয়েছে।
অবশ্য তার আগেই যে নিয়ম ভাঙ্গার পালাটা শুরু করেছিলো বিসিবি। বিশ্বকাপে মাঠে নামার আগেই ক্রিকেটারদের দাওয়াত খাওয়ার মাঠে নামিয়ে দিয়েছিলো ক্রিকেট বোর্ড। ব্রিসবেনের সেই দাওয়াতে ছিলো না সাকিব আল হাসানদের মত। সেখানে সমর্থক আর ক্রিকেটারদের মধ্য মনমালিন্যও হয়।
সেই সাথে যোগ হয়েছে আইসিসির বিমাতাসুলভ আচরণ। সিডনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে মূল ড্রেসিংরুম ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি সাকিব আল হাসানদের। হোটেলে ফেরার গাড়ির জন্য রাস্তায় দাড়িয়ে থাকতে হয়েছে দীর্ঘক্ষণ। সেই সাথে ৫ ঘণ্টার বিমান যাত্রা সরাসরি ফ্লাইটে না পাওয়ায় ১১ ঘন্টা লাগার মতো ঘটনাতো আছেই।
সবকিছু মিলেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের মাঠের ক্রিকেট কম; আলোচনায় বেশি মাঠের বাইরের ক্রিকেট।
/এসএইচ
Leave a reply