পঁচাত্তরে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ: খায়রুজ্জামান লিটন

|

রাজশাহী সিটি মেয়র, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় নেতা এএইচএম কামারুজ্জামানের ছেলে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

পঁচাত্তরে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা যথাযথ ভূমিকা পালন করলে সপরিবারের বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেলহত্যার মতো নৃশংস ঘটনা এড়ানো যেতো- এমনটাই মনে করেন জাতীয় নেতা এএইচএম কামারুজ্জামানের সন্তান এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। সম্প্রতি যমুনা নিউজের সাথে আলাপকালে আওয়ামী লীগের এ প্রেসিডিয়াম সদস্যের অভিযোগ, তৎকালীন মার্কিন সরকার বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সময় থেকেই এ দেশের স্বাধীনতাকামীদের বিপক্ষে ছিলো। যার ধারাবাহিকতা বজায় ছিলো পঁচাত্তরেও।

সহযোদ্ধাদের সঙ্গে জাতীয় নেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানকে যখন জেলের ভেতরে হত্যা করা হয়, তখন তার সন্তান এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন পড়াশোনার জন্য ছিলেন ভারতে।

পিতার মৃত্যুর পর দেশে ফিরে পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন। দুঃসময়েও আঁকড়ে থেকেছেন রাজনীতির মাঠ। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বরের সেই নৃশংসতার পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে এখনও প্রশ্ন আছে আওয়ামী লীগের বর্তমান এ প্রেসিডিয়াম সদস্যের।

এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, দেখুন নিরাপদ জায়গা হওয়া সত্ত্বেও ৩রা নভেম্বর যখন জেলহত্যা সংঘটিত হলো তখন তো যুক্তরাষ্ট্র কোনো কথা বলেনি। বা যারা খুনি তাদেরকে যখন ইনডেমনিটি দেয়া হলো বা নির্বিঘ্নে দেশ থেকে চলে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হলো তখনও যুক্তরাষ্ট্র কোনো কথা বলেনি।

শাসক দলের এই জ্যেষ্ঠ নেতা মনে করেন, একাত্তরে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা ও ৩ নভেম্বর জেলহত্যার কুশীলবদের সঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের যোগাযোগ- সবই এক সুতোয় গাঁথা।

এমন অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রিপাবলিকানরা ক্ষমতায় আছেন এটা বড় কথা না; বড় কথা হলো তাদের বিদেশ নীতি সবসময়ই একরকম। তাদের স্বার্থ বিঘ্নিত হওয়ামাত্রই তারা সেসব জায়গায় হস্তক্ষেপ করবে। আবার যেখানে তারা কিছু পাবে সেখানে তারা নমনীয়।

বাংলাদেশ-বিরোধী একটি তৎপরতার ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সরব হয়নি- বলে উল্লেখ করে রাজশাহীর মেয়র অভিযোগ করেন, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পক্ষপাতদুষ্ট।

এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, পাকিস্তান যে গণহত্যা করছে তখন তাদেরকে সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তখন মানবাধিকার কই ছিল? বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্র হলো তখন ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের যুক্ত থাকার সমস্ত প্রমাণ থাকার পরও তারা নিরব। তখন তাদের মানবাধিকারের কথা কই থাকে?

শহীদ জাতীয় নেতার এ উত্তরসূরি মনে করেন, ১৯৭৫ সালের ঘটনাপ্রবাহে মার্কিন ভূমিকা নিয়ে সেদেশের নিজেদেরই তদন্ত করার উদ্যোগ নেয়া উচিত।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply