সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা কেনো ডেমোক্র্যাটদের জন্য জরুরি?

|

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা। কিন্তু কেনো সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা ডেমোক্র্যাটদের জন্য জরুরি তা একটি বিশ্লেষণের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন বিবিসির নর্থ আমেরিকার প্রতিনিধি অ্যান্থনি জুরকার।

অ্যান্থনি জুরকার তার প্রতিবেদনে লিখেছেন, নির্বাচনের চার দিন পর দেশটির নেভাদা অঙ্গরাজ্যের ফলাফল পাওয়ার মধ্য দিয়ে ডেমোক্র্যাটরা সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পেরেছেন।

নেভাদার ডেমোক্র্যাট নেতা ক্যাথেরিন কর্টেজ মাস্তো খুব সামান্য ব্যবধানে জয় পেয়েছেন। এই জয়ের ফলে মার্কিন সিনেটে ডেমোক্র্যাটদের আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ আর রিপাবলিকানদের ৪৯টি।

তবে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ফলাফল এখনও বাকি রয়েছে। সেখানে আগামী মাসে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। রিপাবলিকানরা এখানে জিতলেও সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ডেমোক্র্যাটদের হাতেই থাকবে। এর কারণ, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ‘টাই-ব্রেকিং’ ভোট।

ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ‘টাই-ব্রেকিং’ ভোট বরাবরই আশীর্বাদের মতো রয়েছে ডেমোক্র্যাটদের জন্য। যখনই সিনেটে কোনো বিষয়ে দুই দলের ভোট সমানসংখ্যক হয়েছে, তখন কমলা হ্যারিস ‘টাই-ব্রেকিং’ ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন পার্টিকে উদ্ধার করেছেন।

বর্তমান সিনেটের অবস্থা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে আরও দুই বছর সুবিধা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। সবচেয়ে সুবিধাজনক বিষয় হলো, কোনো বিচারপতি যদি অপ্রত্যাশিতভাবে অবসরে যান কিংবা মারা যান, তবে সুপ্রিম কোর্টের শূন্য আসনে বাইডেনের মনোনীত ব্যক্তির নিয়োগ রিপাবলিকানরা আটকাতে পারবেন না।

নেভেদায় জয়ের পর জর্জিয়া সিনেটের নির্বাচন এখন আর তেমন গুরুত্ব বহন করছে না। তবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন মনে করেন, ডেমোক্র্যাটরা সিনেটে ৫১ আসন পেলে আরও ভালো হতো। কারণ সিনেটে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ৫১ আসন পাওয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে ক্ষমতাসীনদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার চর্চাটি সহজ হয়।

এদিকে, রিপাবলিকানরা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে সামান্য ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারেন। তেমনটা হলে তাও প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য বিভিন্ন ধরনের মাথাব্যথার কারণ হবে।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply