টুইটারের মালিকানা ইলন মাস্ক নেয়ার পর কেটেছে দুই সপ্তাহ। এরই মধ্যে বিতর্ক ও নাটকীয় ঘটনা ঘটছে একের পর এক। এবার কোম্পানিটির ওয়ার্ক ট্রান্সফর্মেশনের সাবেক প্রধান ট্রেসি হকিন্সের সাথে গত রোববার (১৩ নভেম্বর) বিতর্কে জড়িয়েছেন মাস্ক। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই বিতর্কের ইস্যু হচ্ছে কর্মীদের লাঞ্চের খরচ। টুইট করে ট্রেসি বলেছেন, কর্মীরা যেন লাঞ্চ ও মিটিংয়ের সময়েও কাজ করতে পারে সে জন্য মাথাপিছু ২০-২৫ ডলার খরচ করা হয়েছে। এর আগে ইলন মাস্ক বলেছিলেন, অফিসে যখন কেউই আসে না তখনও প্রতিটি লাঞ্চ বাবদ খরচ করা হয়েছে ৪০০ ডলার! আর সেটাও চলেছে ১২ মাস ধরে।
ট্রেসি হকিন্স টুইটে বলেন, মাস্কের দাবি মিথ্যা। গত সপ্তাহ পর্যন্ত খাদ্য কর্মসূচি আমিই পরিচালনা করেছি। এখন পদত্যাগ করছি কারণ, ইলন মাস্কের জন্য সকাল ও দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করতে পারবো না। প্রতিদিন লাঞ্চের জন্য জনপ্রতি ২০-২৫ ডলার খরচ করা হয়। এতে করে কর্মীরা দুপুরের খাবারের সময় ও মিটিংয়ে বসেও কাজ করতে পারে। অফিসে কর্মীদের উপস্থিতির হারও ছিল ২০ থেকে ৫০ শতাংশ।
ট্রেসি হকিন্সের দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা টুইটে ইলন মাস্ক লিখেছেন, টুইটারের সান ফ্রান্সিসকোর সদর দফতরে এক বছরে কেবল লাঞ্চ বাবদ খরচ হয়েছে ১৩ মিলিয়ন ডলার। রেকর্ড বলছে, এ সময় কর্মী উপস্থিতি ছিল সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ। অফিসে রাতের খাবারও পরিবেশন করা হয়, যখন খাওয়ারও কেউই থাকে না।
সকালের নাস্তা খাওয়ার চেয়ে টুইটার অফিসে বানানোর মানুষই বেশি, এমন মন্তব্যও করেছেন মাস্ক। নিউইয়র্ক টাইমসের এক আর্টিকেলে জানানো হয়েছিল, কর্মীদের ফ্রি লাঞ্চ বন্ধ করে দিয়েছেন টুইটারের নতুন মালিক।
আরও পড়ুন: ভুয়া অ্যাকাউন্টের ছড়াছড়ি, অর্থের বিনিময়ে ব্লু টিক স্থগিত করলো টুইটার
/এম ই
Leave a reply