দিল্লির রাস্তায় টুকটুক বা অটোরিকশা চালিয়ে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন ৪ জন মার্কিন কূটনীতিক। অফিসে যাওয়ার জন্য দাফতরিক গাড়ি ব্যবহারের বদলে তারা স্থানীয় এই যানবাহন বেছে নিয়েছেন। তাদের দাবি, এরমাধ্যমে স্থানীয় সাধারণ মানুষের সাথে তাদের ব্যক্তিগত যোগাযোগ বাড়ছে, কমছে আত্মিক দূরত্ব। খবর ইন্ডিয়ান টাইমসের।
ওই চার কূটনীতিকের মধ্যে অন্যতম হলেন অ্যান এল ম্যাসন। তিনি বলেন, নতুন ধরনের যানবাহনের প্রতি সারাজীবনই তীব্র কৌতুহল। আমার দেখা গাড়িগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষনীয় এই টুকটুক বা অটোরিকশা। পাকিস্তানে যখন কাজ করতাম, সেসময় অস্ত্রসজ্জিত বিশাল গাড়ি ছিল। কিন্তু জানালা দিয়ে সবসময় বাইরের রঙ্গিন টুকটুকের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। ভারতে এসে দেখলাম, নিরাপত্তার ঝামেলা নেই। আর অটোরিকশাও কেনা সম্ভব। তাই আর দেরি করিনি।
অ্যানকে দেখেই মার্কিন দূতাবাসের আরও ৩ কূটনীতিক শুরু করেন টুকটুকের ব্যবহার। তাদের দাবি, এরমাধ্যমে স্থানীয়দের সাথে পারস্পরিক যোগাযোগ আরও সহজ এবং দৃঢ় হচ্ছে।
রুথ হোমবার্গ নামের এমন আরও এক মার্কিন কূটনীতিক বলেন, কূটনীতি সবসময় আনুষ্ঠানিক বা হাই-লেভেলে হয় না। কূটনীতির মূল উদ্দেশ্যই হলো, নিত্যনতুন ব্যক্তিকে জানা, তাদের সাথে সম্পর্ক তৈরী করা। মূল কথা হলো, যোগাযোগ বৃদ্ধি। এই অটোরিকশার মাধ্যমে সেটা সহজভাবে করতে পারি। আমি বাজারের সবজি-মাছ বিক্রেতাদের চিনি। এমনকি, টুকটুক চালাতে দেখলে কথা বলতে এগিয়ে আসেন অনেক ক্রেতাও। সবার সাথেই তৈরি হচ্ছে ওয়ান-টু-ওয়ান যোগাযোগ।
অবশ্য, ভারতে বিদেশি কূটনীতিকদের টুকটুক ব্যবহার পুরোনো ঘটনা। মার্কিন নাগরিকদের আগেই মেক্সিকান রাষ্ট্রদূত মেলবা প্রিয়া ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য অটোরিকশা কিনেছিলেন। অবশ্য, সেটি চালাতেন তার চালক। কিন্তু এই চার নারী কূটনীতিক টুকটুক চালান নিজেই।
এসজেড/
Leave a reply