বিশ্বকাপের শুরুটা ছিল জায়ান্ট জার্মানিকে হারিয়ে। এরপর স্পেনের বিপক্ষে ৭ গোল হজম করা কোস্টারিকার কাছে হেরে বিবর্ণ স্বপ্ন। কিন্তু স্পেনের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে যেন ‘জার্মান বধ’ কাব্যের পুনঃমঞ্চস্থই করলো জাপান। ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে ধূসর স্বপ্নকেই বাস্তবতা প্রতিচ্ছবি করে তুললো।
খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নেমেছিল জাপান। কে জানতো কোস্টারিকা অপর ম্যাচে জার্মানির সাথে লিড নেবে, আর অস্তিত্ব সংকটে পড়ে যাবে টেবিল টপার স্পেনও! অথচ প্রথমার্ধে মোরাতার দেয়া গোলে এগিয়ে ছিল স্পেন। কিন্তু, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে ২-১ ব্যবধানের লিড নেয় জাপানিজরা। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হওয়ায় স্প্যানিশদের ২-১ ব্যবধানে হারায় জাপান। তাদের এ জয়ে বিদায় নিশ্চিত হলো জার্মানি ও কোস্টারিকার। আর, গ্রুপ-ই থেকে নকআউট পর্বে গেলো জাপান ও স্পেন। নকআউট পর্বে জাপান খেলবে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আর স্পেনের প্রতিপক্ষ হবে মরক্কো।
ম্যাচের ১১ মিনিটে হেড থেকে স্প্যানিশদের লিড এনে দেন আলভারো মোরাতা। অ্যাজপিলিকোয়েতার পা থেকে আসা চমৎকার ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে স্পেনকে ১-০ তে এগিয়ে রাখেন মোরাতা। ১৯৫০ সালে তেলমো জারার পর আলভারো মোরাতা এখন দ্বিতীয় স্প্যানিশ খেলোয়াড় যিনি বিশ্বকাপে খেলা টানা তিন ম্যাচের তিনটিতেই গোল করেছেন।
ম্যাচের ২৫ মিনিটে আবারও আক্রমণ সাজায় স্পেন। রদ্রির এগিয়ে দেয়া বল নিয়ে জাপানের রক্ষণ ভেঙে এগোলেও মোরাতার সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় অফসাইডের জেরে। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে চলতে থাকে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। ৪৪ ও ৪৫ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন যথাক্রমে জাপানের শোগো তানিগুচি ও মায়া ইয়োশিদা। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হওয়ায় ১-০ ব্যবধানেই বিরতিতে যায় দুদল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই খেলার মোড় পাল্টে দেয় জাপান। ৪৮ মিনিটে স্প্যানিশ গোলকিপার উনাই সিমনের ভুলে পাওয়া রিতসু দোয়ানের গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় তারা। এর ঠিক তিন মিনিটের মাথায় ম্যাচের লিড নেয় জাপান। নাগামোতোর বাড়ানো বলে পা লাগিয়ে স্পেনের জালে বল জড়ান তানাকা।
৫৬ মিনিটে মোরাতার বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামে মার্কো অ্যাসেনসিও। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে আলবার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন বার্সা ফরোয়ার্ড আনসু ফাতি। মাঠে নামার পর থেকে বল তাড়া করে যাচ্ছিলেন ফাতি; কিন্তু জাপানের ডিফেন্সে বারবার পরাস্ত হচ্ছিলেন তিনি।
বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হওয়ায় ২-১ ব্যবধানে জয় পায় জাপান। ২০০২ সালের পর এই প্রথম নকআউট পর্বে খেলবে এশিয়ার ফুটবল পাওয়ার হাউস জাপান।
/এসএইচ
Leave a reply