স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর:
আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে নগরীর ৭০ ভাগ ভোটারেরই ইভিএম পদ্ধতি সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই। ফলে ইভিএম নিয়ে ভোটারদের পাশাপাশি শঙ্কায় রয়েছেন ভোটের প্রার্থীরাও। অবশ্য নির্বাচনের আগেই ইভিএম সম্পর্কে ভোটারদের ধারণা দিয়ে মক ভোট নেয়া হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ২০১২ সালে পৌরসভাকে বর্ধিত করে ২০৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের রংপুর সিটি করপোরেশন করা হয়। তবে নগরীর ৭০ ভাগ এলাকা এখনও প্রান্তিক এবং কৃষিনির্ভর। ফলে ইভিএম নিয়ে ভোটারদের চেয়ে বেশি আস্থাহীনতায় রয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের অধিকাংশই জানেন না কীভাবে ইভিএম মেশিনে ভোট দিতে হয়। এমনকি তাদেরকে কোনো প্রশিক্ষণও দেয়া হয়নি।
এনিয়ে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ইভিএমে অনেক কারচুপি করার সুযোগ থাকে। ভোট রিডিং কিংবা আগের ভোট কাস্ট করে দেয়া যায়। সরকার যদি এসব করে তাহলে কিন্তু এটা বুমেরাং হয়ে যাবে। তাই স্বচ্ছতার জন্য ইভিএমে জিরো রেটিং নিশ্চিত করতে হবে।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী হোসেনে আরা লুৎফা ডালিয়া বলেন, গ্রাম বা শহরের মানুষ ইভিএম পদ্ধতিকে ভয় করে না। ভোটাররা এটিকে সহজভাবেই নেবেন। তারা সকলেই বিশ্বাস করে আধুনিক বিজ্ঞানের প্রযুক্তিতে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, নির্বাচনের আগেই আমাদের মক ভোটিং কার্যক্রম শুরু হবে। ২৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিটি পাড়ায় মহল্লায় আমরা ইভিএম নিয়ে যাবো। কীভাবে ভোট দিতে হবে সেটি হাতে-কলমে শিক্ষা দেবো।
এএআর/
Leave a reply