চট্টগ্রামে দু’মাসে ৫০টিরও বেশি শিশু হত্যা ও নির্যাতনের শিকার

|

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রামে বেড়েই চলেছে শিশুদের উপর নৃশংসতা। কখনো ধর্ষণের পর হত্যা, কখনো নির্মম হত্যা, মায়ের বুক থেকে চুরি সবই যেন ঘটছে নিষ্পাপ শিশুদের সাথেই। গত দুই মাসেই নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৫০টিরও বেশি, শিশু চুরির ঘটনা অন্তত ১০টি। অপরাধ বিজ্ঞানীরা বলছেন, সামাজিক অবক্ষয় থেকেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।

সম্প্রতি বন্দরটিলায় ৫ বছরের শিশু আয়াতকে ৬ টুকরা করে হত্যা এবং জামালখান রোডে ৭ বছরের শিশু বর্ষাকে পাশবিক নির্যাতনের পর মরদেহ খালে ফেলে দেয়ার সর্বশেষ দুটি ঘটনা হার মানিয়েছে মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও। শুধু তাই নয়, গত দু’মাসে হাসপাতাল থেকে নবজাতক এবং খেলার মাঠ থেকে শিশু চুরির ঘটনা ঘটেছে অন্তত ১০টি। চলতি বছরে চট্টগ্রামে শিশু নির্যাতনের ঘটনা অর্ধশতেরও বেশি।

এ নিয়ে সিএমপির উপ-কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা বলেন, বিভিন্ন উন্নত দেশে শিশুদের স্কুলেই শিক্ষা দেয়া হয়। ফলে তারা কখনো অপরিচিত কারোর সাথে কোথাও যায় না। এমনকি কোন পরিস্থিতিতে যাবে সেটিও স্কুল থেকেই শিক্ষা দেয়া হয়। কিন্তু আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন এ শিক্ষাটি শিশুদের দেয়া হয় না।

শিশু নির্যাতন, অপহরণ এবং হত্যার প্রবনতা বৃদ্ধির নেপথ্য কারণ চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানী ও সাবেক উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ইন্টারনেটের অপব্যবহার বন্ধের জন্য প্রচলিত আইনকে সংশোধন করতে হবে এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগও নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া এসব বিষয় যেন কোনোভাবেই আমাদের শিশু-কিশোররা দেখতে না পায় সেজন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।

শুধু আইন প্রয়োগই যথেষ্ট নয়, পাশাপাশি পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতাও জরুরি বলছেন আইনজীবীরা। আইনজীবী ও অপরাধ বিশ্লেষক আখতার কবির চৌধুরী বলেন, অপরাধ বন্ধ করা না গেলে শুধু অপরাধীকে শাস্তি দিয়েই অপরাধ থামানো যাবে না।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply