জাতিসংঘে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তুলোধুনা

|

জাতিসংঘে নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভারতের তোপের মুখে পড়েছে পাকিস্তান। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) নিরাপত্তা পরিষদে অনুষ্ঠিত এক বিতর্কে কাশ্মিরের মানবাধিকার ইস্যুটি উত্থাপন করেন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো। এরপরই বিলাওয়াল ভুট্টোকে রীতিমতো তুলোধুনা করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, যারা ওসামা বিন লাদের মতো সন্ত্রাসীকে যারা প্রশ্রয় দেয় তাদের মুখে মানবাধিকারের কথা মানায় না। খবর রয়টার্সের।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায়, বহুপাক্ষিকতার সংস্কার বিষয়ক বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। যার সভাপতিত্ব করে ভারত। এতে অংশ নেয় পাকিস্তানসহ ৬০টিরও বেশি দেশ। বিতর্কে ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এসময় বহুপাক্ষিকতার সংস্কার পক্ষে দিল্লির বিভিন্ন পরিকল্পনা ও প্রস্তাব তুলে ধরেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এস জয়শঙ্কর বলেন, জাতিসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় কার্যকর সমাধানের ওপর। তা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন, সংঘাত বা সন্ত্রাস- যাইহোক না কেন। আমরা স্পষ্টতই আজ বহু পাক্ষিকতাবাদের সংস্কারের ওপর জোর দিচ্ছি। আমরা মনে করি প্রত্যেকটি বিষয়ে নিজেদের মতামত থাকা প্রয়োজন।

এসময় ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের মানবাধিকার ইস্যুটি তুলে ধরে পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন, ভারত বহুত্ববাদের কথা বলছে। দিল্লি যদি বহুত্ববাদের সাফল্য দেখতে চায়, তাহলে কাশ্মিরে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব কার্যকর করুক। তারা প্রমাণ করুক তাদের নেতৃত্বে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ আমাদের অঞ্চলে শান্তি ফেরাতে পারবে।

এরপরই পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রীতিমত তুলোধুনা করেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চলছে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ। পুরো বিশ্বই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ছে। সেই সন্ত্রাসবাদকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। যারা ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেয় আর আর প্রতিবেশী দেশের পার্লামেন্টে হামলা চালায় তাদের কখনই নিরাপত্তা কাউন্সিলের সামনে উপদেশ দেয়া শোভা পায় না।

২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেয় ভারত। বাতিল করে ৩৭০ ধারা। যার তীব্র বিরোধিতা করে আসছে পাকিস্তান।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply