১৮ বছরের ক্যারিয়ারে ১৭টি ক্লাব ট্রফি, ৭টি ব্যালন ডি-অর, ছয়বার ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট, বিশ্বকাপে একটি গোল্ডেন বল, একটি কোপা আমেরিকা ও একটি অলিম্পিক গোল্ড। এসব পুরস্কার যার ভান্ডারে, তার শোকেসে নেই শুধু একটি বিশ্বকাপ ট্রফি! তিনি লিওনেল মেসি, মূলত তিনিই একটা গোটা ফুটবল দল আর্জেন্টিনা।
প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আজ মাঠে নামছেন এই ফুটবলার। কিন্তু তার পথের কাটার নাম ফ্রান্স। যে দলটি বেনজেমা-পগবা-কন্তে-কিম্পেম্বেকে ছাড়াই ফাইনালে। গত ২৪ বছরে একমাত্র শিরোপাধারী ফাইনালিস্ট। যারা স্বপ্ন দেখেছে ইতালি ও ব্রাজিলের পর তৃতীয় দেশ হিসেবে টানা দুটি বিশ্বকাপ জয়ের। এমবাপ্পে-গ্রিজম্যান-জিরু-লরিস তাদের বাজির চার বড় ঘোড়া। তবে লড়াইয়ের আগে ভাইরাস জনিত অসুস্থতা ও ইনজুরির তোপে পড়েছে লেস ব্লুজ। উপামেকানো, র্যাবিওট, কোম্যান, ভারানে ও কোনাতে রয়েছেন এই তালিকায়।
ফাইনালের আগে ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম বলছিলেন, সব কিছুর ঊর্ধ্বে আমাদের ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। দলের কেউ কেউ ভাইরাসের কারণে শারিরীক সমস্যায় ভুগছে, এমন পরিস্থিতি না হলে আরও ভালো হত আমাদের জন্য। তবে বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য আমরা কোনো সমঝোতা করব না।
আর ফ্রান্স দলের অধিনায়ক হুগো লরিস বলেন, আমি জানি বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ এমনকি ফ্রান্সের কিছু সমর্থকরাও এইবার মেসির হাতেই শিরোপাটা দেখতে চাইবে। কিন্তু আমরা ম্যাচে জয়ের জন্যই মাঠে নামব।
মেসির দল অবশ্য ধারাবাহিক, প্রত্যেকটি দলের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছেন দুই লিওনেল। ২০১০ সালে প্রথম ম্যাচ হেরেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্পেন। শুরুতে সৌদি আরবের কাছে হারা আলবিসেলেস্তারা চাইছে সেই রেকর্ড স্পর্শ করতে। ডি-মারিয়া ও লাউতারো আরও একবার উপেক্ষিত থাকতে পারেন শুরুর একাদশে।
আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি বলেন, ফ্রান্স খুবই ভালো দল। তাদের শক্তি সম্পর্কে আমাদের ধারণা আছে, আমরা সেভাবেই আমাদের পরিকল্পনা সাজাচ্ছি। ম্যাচটি আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্স। মেসি বনাম এমবাপ্পে নয়। আমরা পুরো দলকে মাথায় রেখেই আমাদের সেরাটা দিব।
দুই দেশের মুখোমুখি ১২ দেখায় ৬ জয় আর্জেন্টিনার, ফ্রান্সের ৩। এখন ৩৬ বছরের অপেক্ষা ঘোচাতে মেসির দলের বড় অস্ত্র তিন তরুণ— হুয়ান আলভারেজ, ম্যাক অ্যালিস্টার ও এনজো ফার্নান্দেজ। এদের রুখতে পরিকল্পনার ছক আছে দেশমের হাতেও।
বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে শুরু হবে ফাইনাল ম্যাচটি।
/এমএন
Leave a reply