আশঙ্কাজনকহারে ছড়িয়ে পড়া করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে চীনের স্বাস্থ্য বিভাগ। বেশ কিছু প্রদেশে দেখা দিয়েছে আইসিইউ বেড এবং চিকিৎসা সামগ্রীর চরম সংকট। উৎপাদন বাড়িয়েও সংকট সামাল দিতে পারছে না ওষুধ কোম্পানিগুলো। সব মিলিয়ে দেশটির চলমান করোনা পরিস্থিতি পুরো বিশ্বেই নতুন উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। খবর আলজাজিরার।
হাসপাতালের কোথাও তিল ধারণের জায়গা নেই। বেড না পেয়ে অনেকেরই ঠাঁই হয়েছে ফ্লোর বা করিডোরে। করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে শুরু করায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে চীনের অনেক হাসপাতালে। হাসপাতালগুলোতে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামালাতে বিরতিহীন কাজ করেও হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। দেখা দিয়েছে অক্সিজেন, আইসিইউ বেডসহ চিকিৎসা সামগ্রীর চরম সংকট। বিশেষ করে কোভিড পরীক্ষার কিট ও জ্বর-কাশির ওষুধের অপ্রতুলতা ধারণ করেছে মারাত্মক আকার।
বেইজিংয়ের একটি হাসপাতালে কর্মরত একজন নার্স আলজাজিরাকে বলেন, প্রচণ্ড কাজের চাপ। জরুরি বিভাগে ধারণক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। যেসব রোগীরা আসছেন, তাদের বেশিরভাগের অক্সিজেন লেভেল ৫০, ৬০ বা ৭০ শতাংশ।
চীনের স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তা জেং চুন বলেন, ২০ দিন আগের তুলনায় আজকের (সোমবার) আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। পরিস্থিতি বিবেচনায় অনুমোদন প্রক্রিয়াও কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।
এদিকে, স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত অনেকেই সংক্রমিত হচ্ছেন করোনা ভাইরাসে। অনেক হাসপাতালই অর্ধেক জনবল নিয়ে চালাচ্ছে স্বাস্থ্য পরিসেবা। যা নিয়ে উদ্বেগ জানাচ্ছেন দেশটির চিকিৎসকরা।
বেইজিংয়ে কর্মরত একজন ডাক্তার পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে আলজাজিরাকে জানান, আমাদের বিভাগে মাত্র ১১ জন নার্স আছে। সহকর্মীরা বাকি সবাই সংক্রমিত হয়েছে। সবাই দিনরাত পরিশ্রম করছি। তারপরও রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, করোনা নিয়ন্ত্রণে এরই মধ্যে আবারও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে শুরু করেছে শি জিনিপিং প্রশাসন। জিরো কোভিড নীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তারা আরোপ করছে লকডাউন, স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, গণহারে নমুনা পরীক্ষার নিয়ম। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বয়স্কদের টিকা দিতেও উদ্যোগী হয়েছে চীন প্রশাসন।
/এসএইচ
Leave a reply