শুরু হয়েছে ১০ম ঢাকা লিট ফেস্ট। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে চারদিনের এই উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক আবদুলরাজাক গুরনাহ, ভারতীয় লেখক ও সাহিত্য সমালোচক অমিতাভ ঘোষ এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ উৎসবের উদ্বোধন করেন। এমন আয়োজন সাহিত্যের যোগসূত্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান বক্তারা।
বাংলাদেশের পরিচয় ধারণ করে মনিপুরী নৃত্যে শুরু হয় ১০ম ঢাকা লিট ফেস্ট। নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক আবদুলরাজাক গুরনাহ এমন আয়োজনে অংশ নিতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন। ঢাকা লিট ফেস্ট আন্তর্জাতিক সাহিত্যের সঙ্গে এক গভীর যোগসূত্র সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন ভারতীয় লেখক ও সাহিত্য সমালোচক অমিতাভ ঘোষ। তিনি বলেন, এত জায়গায় এত পাঠক আছে, তারা বই পড়ছে, বুঝছে। সাড়াও দিচ্ছে। একজন লেখকের জীবইনে এরচেয়ে বড় দান আর কিছুই নেই।
বাংলা সাহিত্যের অনন্য সৃষ্টিগুলো বিশ্ব দরবারে পৌছে দিতে প্রয়োজন ভালো অনুবাদের। আর বাংলা সাহিত্যকে জানার ক্ষেত্রে লিট ফেস্টের মতো আয়োজন আরও বেশি প্রয়োজন বলে মনে করেন বাঙালি সাহিত্যিকরা। প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, এ দেশের লেখকদের ভালো লেখাগুলো যদি অনুবাদ করে সারা পৃথিবীর কাছে পৌঁছে দেয়া যেতো, সেটাই হতো সবচেয়ে ভালো যোগাযোগ। সেটা যেহেতু হচ্ছে না, তাই এ ধরনের লিট ফেস্ট অনেক বড় ভূমিকা রাখছে। ভূমিকাটা এভাবে রাখছে যে, বড়বড় লেখকরা বাংলাদেশে আসছেন। তারা আমাদের দেশ, সাহিত্য ও সাহিত্য সম্পর্কে জানতে পারছেন।
পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিক গৌতম গোরাহ বলেন, বাংলা সাহিত্যের নতুন করে ওঠে আসার বার্তা এরকম অনুষ্ঠান দেয়। এই অনুষ্ঠান কাঁটাতার ভাগ করতে পারেনি; সেটাকে জয় করে আমাদের যে মিলন, এই অনুষ্ঠানগুলোতে সেই মিলন হয়। এটা বাংলা ভাষা, সাহিত্য-সংস্কৃতির সার্বিক জয়ের বার্তা দেয়।
এবারের লিট ফেস্টে সকাল ও বিকেলের সেশনে অংশ নেবেন পাঁচ মহাদেশের পাঁচ শতাধিক বক্তা। উৎসবে থাকছে শিশুদের জন্য নানা আয়োজন। একাডেমির মাঠ জুড়ে থাকছে বইয়ের স্টল আর সাহিত্য আড্ডা।
আরও পড়ুন: ঢাকা লিট ফেস্ট: দুই দিনে প্রদর্শিত হবে আলোচিত ৯ সিনেমা
/এম ই
Leave a reply