নাটোরে অবৈধভাবে হাটের জায়গা দখল, তদন্তের নির্দেশ

হাটের জায়গা দখল করে নেয়ায় এভাবেই রাস্তার পাশে ঝুঁকি নিয়ে কেনাবেচা করেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

সিনিয়র করেসপনডেন্ট, নাটোর:

নাটোরের দত্তপাড়ায় হাটের সরকারী জায়গা দখলকারীদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন নাটোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। দত্তপাড়া হাটের অবৈধ দখল নিয়ে গত ৩০ নভেম্বর যমুনা টেলিভিশনও সংবাদ প্রচার করেছিলো।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোরের পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বিশেষ পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ।

তিনি জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তকাজে সহযোগীতা করার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী ১৪ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আব্দুল মজিদ জানান, নাটোর সদর উপজেলার দত্তপাড়া বাজারে প্রতিদিন নিজেদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করেন স্থানীয় কৃষকরা। বাজারের নির্ধারিত জায়গা প্রভাবশালীরা দখলে রাখায় নাটোর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। রাস্তার পাশে বাজার হওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় থাকেন ক্রেতা বিক্রেতারা। এ সংবাদটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হলে তা আদালতের নজরে আসে। সংবাদটি বিশ্লেষণ করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এটা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, সরকারি জমিতে অনুমতি ব্যতিত স্থাপনা নির্মাণ করেছে অবৈধ দখলদাররা। যা ‘দ্য গর্ভরমেন্ট এন্ড লোকাল অথারিটি ল্যান্ড এন্ড বিল্ডিং ১৯৭০ এর ৭ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

গত শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) জারী হওয়া ম্যাজিস্ট্রেটের সে আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়, এ অপরাধ কার কার দ্বারা সংঘটিত হয়েছে তাদের বিস্তারিত নাম-ঠিকানা প্রাথমিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে নিরূপণ ও শনাক্ত করা প্রয়োজন। তদন্তকালে আসামিদের শনাক্তকরণ, সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ, স্থাপনার স্থিরচিত্র, ভিডিওসহ ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র প্রস্তুত, সংশ্লিষ্ট সমস্ত কাগজাদি জব্দ করতে নির্দেশ দেয়া হয়।

পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নাটোরের বিশেষ পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দত্তপাড়া বাজারের অবৈধ দখলদারিত্বের বিষয়ে আদেশের কপি হাতে পেয়ে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তদন্তে সহযোগীতার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলেও জানান তিনি।

/এসএইচ