রাজশাহী ব্যুরো:
চাঁদা না দেয়ায় রাজশাহীতে ৩০ লাখ টাকার মার্কেট ও জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে যুবলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে।
হঠাৎ করেই ৪ জানুয়ারি রাতে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা দলবল নিয়ে মার্কেট ভেঙে জমি দখল করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সুলতানা বেগম। তিনি রাজশাহীর ম্যাচ ফ্যক্টরির মোড়ের এক মার্কেটে ১০ বছর থেকে ব্যবসা করছেন।
সুলতানা বেগম বলেন, আমাদেরকে অত্যাচার করে বের করে দিয়েছে। আমি বলেছি, আমাদের সালামি দেয়া আছে ২ লাখ টাকা। এই টাকা কে দেবে।
শুধু সুলতানা নয়, সেখানকার একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর একই পরিস্থিতি। তাদের অভিযোগ, মার্কেট ভেঙে মালামাল পর্যন্ত লুট করা হয়েছে তাদের। ফলে অসহায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্থান এখন রাস্তার পাশে।
জমির মালিক আব্দুল বারী অভিযোগ করেছেন, ১৭ বছর আগে সোয়া ৫ কাঠার এই জমি কিনছেন তিনি। রাজশাহী মহানগর যুবলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক দুরুল হুদার নেতৃত্বে সরকারি দলের নেতা পরিচয়দানকারী মোস্তফা, অরবিন্দসহ কয়েকজন প্রথমে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে হঠাৎ করেই রাতের আঁধারে তারা জমি দখল করে।
জমির মালিক আব্দুল বারী বলেন, যখন তারা তালা মারে তখন আমি সেখানে যাই। আমি মার্কেটে তালা মারার কারণ জানতে চাইলে তারা আমার কাছে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
অভিযুক্ত দুরুল হুদা টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে প্রথমে নানারকম দম্ভোক্তি করেন। পরবর্তীতে তিনি দাবি করেন, এই জমি তিনি ৩০ লাখ টাকায় কিনেছেন। সারা বিশ্বের নিয়ম একই। কাগজ যার জমি তার বলেও জানান তিনি।
যদিও দুরুলের কাছে নয়, ২০০৬ সালে আবদুল বারীর কাছেই জমি বিক্রি করেন বলে নিশ্চিত করে সাবেক মালিক শেখ নাজির আহমেদ।
তিনি বলেন, আমাকে যে দলিল দেখানো হয়েছে সেখানে যে সই সেটি আমার না।
আবদুল বারী অভিযোগ করেন, বিষয়টি নিয়ে থানায় গেলেও পুলিশ জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় হওয়ায় তার অভিযোগ নেয়নি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তাই কথা বলতে রাজি হননি। আর নগর যুবলীগ বলছে, তাদের কাছে কেউ অভিযোগ করলে তারা ব্যবস্থা নেবেন।
রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলী বলেন, আমাদেরকে কেউ কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ করেনি। যদি কেউ অভিযোগ করে তবে আমরা সাংগঠনিকভাবে আমরা মহানগর যুবলীগ একটি কমিটি গঠন করবো। পরে যদি সত্যতা পাই তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
/এনএএস
Leave a reply