আসছে নতুন মুদ্রানীতি: ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই বড় চ্যালেঞ্জ’

|

আলমগীর হোসেন:

আসছে নতুন মুদ্রানীতি। যা আগামীকাল রোববার (১৫ জানুয়ারি) ঘোষণা করা হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় মূল্যের অস্থিরতা রোধ এবং তারল্য সংকট সামাল দেয়াই হবে নতুন মুদ্রানীতির মূল চ্যালেঞ্জ। মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় দরকার বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, সরকারি ঋণেরও সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, অর্থনীতিতে চলমান সমস্যার সমাধানের গুরুত্ব থাকবে মুদ্রানীতিতে।

আগে বাংলাদেশ ব্যাংক বছরে দুইটি মুদ্রানীতি ঘোষণা করলেও সে নিয়ম বদলে ফেলেন বিদায়ী গভর্নর ফজলে কবির। বাজেটের সাথে সমন্বয় করে বছরে একবার মুদ্রানীতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যার বাস্তবায়ন শুরু হয় ২০১৯ সাল থেকে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনে আবারও বছরে দুইবার মুদ্রানীতি ঘোষণার নিয়ম কার্যকর করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন মুদ্রানীতিতে শুধু লক্ষ্য নির্ধারণ না করে তা অর্জনেরও দিক-নির্দেশনা থাকতে হবে।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্সের সভাপতি নুরুল আমিন বলেন, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, টাকার মূল্যমান, টাকার সরবরাহ ঠিক রাখতে হবে। তিন বছর আগে মুদ্রানীতিকে এক বছর করা হলো। এই বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়ার জন্য কাজটি করা হয়েছে। বাজেটের সাথে মুদ্রানীতির কোনো সম্পর্ক নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এক বছরের মুদ্রানীতি কোনোভাবেই ঠিক না। ছয় মাস না পারলে তিন মাস করবে। শুধু টার্গেট করে নির্ধারণ করলে হবে না। টার্গেট অর্জনে কী কী পদক্ষেপ নেবে ব্যাংকিং সেক্টর এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে কীভাবে সহায়তা করবে তা ঠিক করতে হবে।

নতুন মুদ্রানীতিতে ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট সমাধানেরও উদ্যোগ দেখতে চান বিশ্লেষকরা।

নুরুল আমিন বলেন, মুদ্রানীতিতে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, তারল্য সংকটের বিষয়টি। মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি ও আমদানির বিষয়ে নজর দেয়া উচিত।

ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একাই মূল্যস্ফীতি ও ফরেন এক্সচেঞ্জ ঠিক করে। এটা কিন্তু সমন্বিত পদক্ষেপ। এখানে অর্থ, পরিকল্পনা ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা রয়েছে। ব্যাবসায়ীর সাথে বসে মূল্য পূননির্ধারণ করে। কিন্তু বাজার মনিটর করা ও নিয়ন্ত্রণের কোনো চিহ্ন নেই।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নিলে বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি আর ও বেড়ে যেতে পারে। তাই এ অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার তাগিদ তাদের।

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল রাখতে বড়দের পাশাপাশি ছোট উদ্যোক্তাদের অর্থায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। নয়-ছয় সুদহার থেকেও বেরিয়ে আসার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply