ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের মর্যাদার লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ম্যাচে প্রথমে লিড নিয়েও হার এড়াতে পারেনি পেপ গার্দিওলার দল। ৭৮ ও ৮২ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজ ও মার্কাস রাশফোর্ডের গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। যা রেড ডেভিলদের লিগে টানা ৫ম জয়। আর সবশেষ ৫ ম্যাচে এটি সিটির ২য় হার।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে ২০২০ সালের মার্চের পর সিটির বিপক্ষে জয় পায়নি ইউনাইটেড। এমনকি সবশেষ দেখায় ইতিহাদ থেকে ৬-৩ গোলের বড় ব্যবধানে হারের লজ্জা ছিল তাদের। তবে ১৮৯তম ম্যানচেস্টার ডার্বিতে মাঠের খেলায় প্রথমার্ধে সিটিজেনদের সাথে ভালোই লড়াই চালিয়ে যায় স্বাগতিকরা। যেখানে রাশফোর্ড গোলের দু’টি সহজ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। প্রথমবার এডারসনকে পরাস্ত করতে পারলেও গোল লাইন ক্লিয়ারেন্সের কারণে গোল বঞ্চিত হন রাশফোর্ড। পরেরবার তার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান সিটি গোলরক্ষক এডারসন।
সুযোগ এসেছিল ম্যানচেস্টার সিটির সামনেও। কেভিন ডি ব্রুইনার বেশ কয়েকটি দারুণ সুযোগ আটকে যায় ইউনাইটেডের রক্ষণে। প্রথমার্ধে দুই দলের কেউই গোল না পাওয়ায় ড্র নিয়ে বিরতিতে যায় দিনের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচটি।
লিগ শিরোপার দৌড়ে ফিরে আসতে জয়ের বিকল্প ছিল না এরিক টেন হ্যাগের সামনে। তাই দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে কিছুটা পরিবর্তন আনেন তিনি। তবে আর্সেনালের থেকে ব্যবধান কমিয়ে আনতে পেপ গার্দিওলাই গোলের দেখা পান আগে। ম্যাচের ৬০ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার ক্রস থেকে পাওয়া বল হেডারে জালে জড়াতে ভুল করেননি জ্যাক গ্রিলিশ। স্বাগতিক দর্শকদের হতাশায় ডুবিয়ে লিড এনে দেন ম্যানচেস্টার সিটিকে।
সিটির আক্রমণ অব্যাহত থাকলেও হাল ছাড়েনি ইউনাইটেড। পাল্টা আক্রমণ থেকে ম্যাচে ৭৮ মিনিটে সমতা আনে স্বাগতিকরা। মাঝমাঠ থেকে ক্যাসেমিরোর ক্রস বোকা বানায় সিটির রক্ষণভাগকে। অফ সাইডে থাকা রাশফোর্ড বলের কাছাকাছি থাকলেও বলে পা ছোঁয়াননি। ডামি করে ছেড়ে দেন ব্রুনো ফার্নান্দেজের জন্য। ডি বক্সের মাথা থেকে নেয়া ব্রুনোর শট এডারসনকে ফাঁকি দিয়ে জায়গা করে নেয় জালে।
সমতায় ফিরে আরও উজ্জীবিত হয়ে ওঠে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ৮২ মিনিটে আবারও পাল্টা আক্রমণ থেকে বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন অ্যান্টোনি। বাঁ পাশে থাকা আলেহান্দ্রো গারনাচো ফাঁকায় বল পান ডি বক্সের ভেতর। প্রথম দফায় তার শট সিটির রক্ষণে লেগে ফিরে আসলে আবারও পায়ে বল পান গারনাচো। ২য় বার তার ক্রস খুঁজে পায় রাশফোর্ডের পা। আবারও সিটির অফসাইড ভেঙে বল জালে জড়ায় ইউনাইটেড। আর এর মাধ্যমেই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর একটি রেকর্ড স্পর্শ করেন রাশফোর্ড। ২০০৮ সালে টানা ৭ ম্যাচে গোল করেছিলেন সিআরসেভেন। চলতি মৌসুমে দারুণ ফর্মে থাকা রাশফোর্ডও রেড ডেভিলদের জার্সিতে পুনরাবৃত্তি করেন এই রেকর্ডের।
শেষ মুহূর্তে গোলের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় ম্যানচেস্টার সিটি। যা সবশেষ ৫ ম্যাচে ২য় হার পেপ গার্দিওলার দলের। আর টানা ৫ ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের তিনে উঠে এসেছে ম্যান ইউ। ১৮ ম্যাচ শেষে ৩৯ পয়েন্ট পাওয়া ম্যানচেস্টার সিটি অবশ্য রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়েই। সমান ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
/এ এইচ
Leave a reply