ভালো নেই রাকি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা; ঘর ছেড়েছেন অনেকে, হয়েছে হাতবদলও

|

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:

নাতি-নাতনিসহ ৭ সদস্যের পরিবারের জন্য হবিগঞ্জের রাকি আশ্রয়ণ প্রকল্পে একটি মাত্র ঘর বরাদ্দ পেয়েছিলেন সালেমা খাতুন। স্থান সংকুলান না হওয়ায় রান্নাঘরেই পেতেছেন আরেকটি বিছানা। দীর্ঘদিন ঘর মেরামত না হওয়ায় কষ্টে কাটছে তাদের দিন।

শুধু সালেমা খাতুন নন, ভালো নেই এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের অন্য উপকারভোগীরাও। ভাঙা ঘর, নষ্ট টিউবওয়েল ও পয়ঃনিষ্কাশন নিয়ে চরম ভোগান্তিতে তারা। নানা অসুবিধায় ঘর ছেড়েছেন অনেকে, হয়েছে হাতবদলও। তবে শিগগিরই সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আশ্বাস প্রশাসনের।

জেলার চুনারুঘাটের রাকি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা সালেমা খাতুন বললেন, একটা মাত্র ঘরে অনেকজনকে থাকতে হয়। তাই রান্না ঘরে থাকার ব্যবস্থা করতে হয়। এখানেও শান্তি নেই। চাল ফুটো তাই বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে। এছাড়া, অন্য বাসিন্দাদেরও অভিযোগের অন্ত নেই।

২০১২ সালে চুনারুঘাটের মিরাশি ইউনিয়নের রাকি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১২টি ব্যারাকে নির্মাণ করা হয় ১২০টি ঘর। পরের বছরের শুরুতে সেখানে আশ্রয় পান ১২০টি ভূমিহীন পরিবার। তারপর তাদের খোঁজ রাখেনি কেউ। নানা অসুবিধায় এরইমধ্যে ঘর ছেড়েছে অন্তত ৫০ পরিবার। রয়েছে বিক্রির অভিযোগও।

চুনারুঘাটের মিরাশির ইউপি চেয়ারম্যান মানিক সরকার দাবি করেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পটি বসবাসের উপযোগী করতে বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করেছেন। বললেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমাদেরকে কথা দিয়েছেন, খুব দ্রুত যাচাইবাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার।

চুনারুঘাটের ইউএনও সিদ্ধার্থ ভৌমিক এ প্রসঙ্গে বলেন, বিষয়টি সরেজমিনে দেখে আমাদের যথাযথ প্রতিবেদন দিতে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও তহশিলদারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

রাকি আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরবে, এমনটাই প্রত্যাশা উপকারভোগীদের।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply