মিত্রদের দেয়া অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে জোরালো হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন। দোনেৎস্কের পূর্বাঞ্চলে রুশ ঘাঁটি ও সমরাস্ত্র ভাণ্ডার লক্ষ্য করে চলছে হামলা। পাল্টা জবাব দিচ্ছে মস্কোও। এদিকে, কিয়েভের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা। রুশ বাহিনীকে পরাস্থ করা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সামরিক সহায়তা দিয়ে যাবে ওয়াশিংটন। খবর রয়টার্সের।
নিপ্রোর মর্মান্তিক হামলার পর আবারও উত্তপ্ত ইউক্রেন। রুশ বাহিনীর একের পর এক তাণ্ডবের কঠোর জবাব দিতে মরিয়া ফ্রন্টলাইনের ইউক্রেনীয় সেনারা, চালাচ্ছে জোরালো হামলা। মিত্র দেশগুলোর দেয়া শক্তিশালী অস্ত্র দিয়ে রণক্ষেত্রে নিজেদের সক্ষমতার জানান দিচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনারা। থেমে নেই রুশ বাহিনীও। আর, প্রাণভয়ে এলাকা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ।
সম্প্রতি, সামনে এসেছে কিয়েভের দুর্বল আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিষয়টি। এজন্যই, তাদের ফ্রন্টলাইন শক্তিশালী করতে নতুন করে অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহের ঘোষণা দিচ্ছে মিত্ররা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহের নতুন ঘোষণা দিয়েছে পোল্যান্ড, জার্মানি, নেদারল্যান্ডসও। মিত্রদের সহায়তায় শিগগিরই রুশ বাহিনীকে প্রতিহতের প্রত্যাশা প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কির।
জেলেনস্কি বলেন, নেদারল্যান্ডস নতুন করে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ডাচ প্রধানমন্ত্রীর এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। যুক্তরাষ্ট্র ও বাকি মিত্রদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে দখলদারদের শিগগিরই প্রতিহত করতে সক্ষম হবো।
এদিকে, চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি দ্রুত অবসানে কিয়েভকে সব রকম সহায়তা চালিয়ে যাবার আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিনকেন বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ইউক্রেনকে সব রকম সহায়তা দিয়ে যাবো আমরা। চলমান এ পরিস্থিতির একটি দীর্ঘস্থায়ী সমাধান চায় যুক্তরাষ্ট্র। আর তার জন্য প্রয়োজন যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনকে আরও শক্তিশালী করা। আর ঠিক সে কাজটিই করছি আমরা।
এদিকে, দীর্ঘ অভিযানের পর অবশেষে শেষ হয়েছে নিপ্রোর উদ্ধারকাজ। জেলেনস্কির প্রশাসন জানিয়েছে- বর্বরোচিত ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪৫ জন। এ হামলায় শিশুসহ গুরুতর আহত হন আরও ৭৯ জন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে রুশ হামলায় ইউক্রেনের ৯ হাজারের বেশি বেসামরিকের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে কিয়েভ। যার মধ্যে রয়েছে সাড়ে চার শতাধিক শিশু।
/এসএইচ
Leave a reply