পশ্চিম তীরের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সাথে যোগাযোগ শক্তিশালী করছে গাজা উপত্যকার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। মূলত, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী সরকারের আগ্রাসন প্রতিরোধেই এ উদ্যোগ। পাশাপাশি, মুসলিমদের শক্তিমত্তা জানান দেয়াটাও হামাসের উদ্দেশ্য। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার স্পষ্টভাবে দখলদারিত্ব বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়ার পরই নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আরও জোরদার করছে এ সংগঠন। খবর জেরুজালেম পোস্টের।
ইসরায়েলের ক্ষমতায় আবারও কট্টর ডানপন্থী নেতানিয়াহু সরকার আসার পরই ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা-আগ্রাসনের মাত্রা বেড়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইতেমার বেন গাভির মূলত হেবরনের দখলদার গোষ্ঠীর প্রতিনিধি হিসেবেই বেশি পরিচিত। তার দোসর হলেন মন্ত্রিসভার অপর সদস্য বেজালেল স্মোতিরস্ক। যার পশ্চিম তীরের ওপর বিশাল প্রভাব রয়েছে। এরই জেরে তিনি পবিত্র নগরী জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের বিশাল অংশ দখলের ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন।
এ সংকট থেকে উত্তরণেই পশ্চিম তীরের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সাথে যোগাযোগ বাড়াচ্ছে হামাস। দলটির দাবি, বর্তমানে প্রতিরোধের বিকল্প পথ নেই। এ নিয়ে হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের মুখপাত্র জাকারিয়া আবু মামার বলেন, বড় পরিসরে সক্রিয় হচ্ছে হামাস। সাধারণ ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে সমন্বয় করা হচ্ছে। অধিকার সমুন্নত রাখতে এবং ইসরায়েলি সরকারের হস্তক্ষেপ ঠেকাতে এটাই সবচেয়ে সফল ও আস্থাশীল উপায়। বর্তমানে পশ্চিম তীরে প্রতিরোধকে শক্তিশালী করার ওপর হামাস নজর দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পশ্চিম তীরের সাথে হামাস যোগাযোগ বাড়াচ্ছে। এ ঘোষণায় দখলদারদের ভীত হওয়া উচিত। কারণ, ২০২১ সালের মে মাসে যে প্রাণঘাতী সংঘাত হয়েছিল, তাতে সাঈফ আল কুদস বা সোর্ড অব জেরুজালেমের শক্তিমত্তা দেখেছে তারা। শত্রুদের আগ্রাসনের মোক্ষম জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত।
অবশ্য বর্তমানে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ হামাসের হাতে। অন্যদিকে পশ্চিম তীরের শাসনভার সামলান ফাতাহর নেতা এবং প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আল আব্বাস। কিন্তু আগ্রাসন সেখানেই বেশি। যেগুলো প্রতিরোধে সক্রিয় রয়েছে ছোট-বড় নানা স্বাধীনতাকামী সংগঠন। এসব সংগঠনের সাথেই সমন্বয়ের জোর কার্যক্রম চালাচ্ছে হামাস।
জাকারিয়া আবু মামার বলেন, স্বাধীনতার প্রশ্নে ফাতাহ, হামাস, ইসলামিক জিহাদ বা পপুলার ফ্রন্ট সবাই জোটবদ্ধ। যেকোনো মুহূর্তে দলগুলো অভূতপূর্ব প্রতিরোধ গড়তে পারে। এমনকি, ডেনস অব লায়নস ও জেনিন ব্রিগেডের মতো ছোটখাটো স্বাধীনতাকামী সংগঠনকেও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়।
২০০৬ সালের নির্বাচনের পর হামাস ও ফাতাহর মধ্যে রয়েছে ক্ষমতা ঘিরে অর্ন্তকোন্দল শুরু হয়। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আসছে ইসরায়েল। কিন্তু এবার স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি সবাইকে জোটবদ্ধ করেই প্রতিরোধে নামতে চায়। যা ইসরায়েলের অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভিত নাড়াতে যথেষ্ট।
এসজেড/
Leave a reply