বাংলাদেশে অফ-গ্রিড স্যানিটেশন এবং হাইজিনের ল্যান্ডস্কেপ পরিবর্তন করতে স্যাটো লিক্সিল’র একটি অংশ উদ্ভাবনী এবং সাশ্রয়ী সানিটেশন এবং হাইজিন ব্র্যান্ড দেশে তিনটি নতুন পণ্য যোগ করেছে। সেগুলো হলো- ইউনিভার্সাল ভি-ট্র্যাপ, একটি টুইন পিট সংযোগ ব্যবস্থা, ইউনিভার্সাল আই-ট্র্যাপ, একটি অফসেট সংযোগ এবং SATO ট্যাপ, একটি পুরস্কার বিজয়ী হ্যান্ডওয়াশিং স্টেশন।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকায় স্যাটো টিম আয়োজিত অনুষ্ঠানে সারা বিশ্বের স্যাটো নেতাদের একত্রিত করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ২০২৫ সালের মধ্যে ১০ কোটি মানুষের জীবন উন্নত করার জন্য SATO-এর লক্ষ্যের কথা জানায়। নতুন পণ্যগুলি সাশ্রয়ী মূল্যের মধ্যে পাওয়া যাবে এবং সকলের চাহিদা পূরণ করতে পারবে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশে ২০১৩ সালে প্রথম স্যাটো পণ্য হিসেবে স্যাটো প্যান আসে। আরএফএল এর সাথে একটি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাজারজাত শুরু করে এই পণ্য।
অনুষ্ঠানে অংশীদার আরএফএল, যারা বিগত দশ বছর বাজার সম্প্রসারণ নিয়ে কাজ করেছে স্যাটোর প্রতিনিতিধিদের সাথে কীভাবে এসডিজি ৬ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ত্বরান্বিত করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করে। আলোচনার মূল লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ নিশ্চিত করা।
অনুষ্ঠানে ইউনিসেফ, আইডিই, ডিপিএইচই, ব্র্যাক, আরএফএল এবং মিডিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এশিয়ার স্যাটো নেতা সুগুরু সাকাতা বলেন, বাংলাদেশ স্যানিটেশনে সাফল্যের একটি উদাহরণ এবং স্যাটো এই সাফল্যের অংশ হতে পেরে সম্মানিত। আমরা বাংলাদেশের জনগণের চাহিদা মেটাতে উদ্ভাবনী সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি এবং আমরা নতুন পণ্যগুলির মাধ্যমে জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি।
শাইন স্যানিটারি ওয়্যার অ্যান্ড ফিটিংস, প্ল্যাটিনাম স্যানিটারি ওয়্যার অ্যান্ড সিরামিকস, আরএফএল প্লাস্টিকস লিমিটেডের অপারেশন প্রধান মো. আবদুল্লাহ-আল-জুনাইদ বলেন, বাংলাদেশ জুড়ে নিরাপদ স্যানিটেশন সরবরাহ করার জন্য স্যাটোর সাথে কাজ করা আনন্দের। আমরা এখন যে নতুন পণ্যগুলি লঞ্চ করছি তা দিয়ে আমরা এখন বাজার বাড়াব।
বাংলাদেশ বর্তমানে স্যানিটেশনে নতুন জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা স্থাপনের জন্য কাজ করছে। নিরাপদ স্যানিটেশন এই সেক্টরের প্রধান। জাতিসংঘের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, বাংলাদেশে নিরাপদ স্যানিটেশনের কভারেজ ৩৯ শতাংশের কম, বা ৩ জনের মধ্যে মাত্র ১ জন। সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার সুবিধা পায় মাত্র ৫৮ শতাংশ। অপর্যাপ্ত স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধির জন্য বাংলাদেশের আনুমানিক ৪.২৩ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে, যা জিডিপির ৬.৩ শতাংশের সমান।
আমরা স্যাটো, লিক্সিলের অংশ এবং এটি পুরস্কারপ্রাপ্ত সামাজিক ব্যবসা যা ৪৪টি দেশে ৩.৫ কোটিরও বেশি মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। স্যাটোর উদ্দেশ্য হলো সকলকে একটি উন্নততর জীবনযাপনের জন্য প্রতিদিন স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি সমাধানের মাধ্যমে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত উপভোগ করার ক্ষমতা দেয়া। স্যাটো গ্রাহকদের নির্দিষ্ট চাহিদা এবং চাহিদার ওপর ভিত্তি করে সাশ্রয়ী মূল্যের টেকসই এবং অ্যাক্সেসযোগ্য পণ্য ডিজাইন করে।
স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধির মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে ১০ কোটি মানুষের জীবন উন্নত করার জন্য লিক্সিলের সাথে স্যাটোর প্রভাব এবং লক্ষ্য নিয়ে গর্বিত।
Leave a reply