ধীরগতিতে চলছে খুলনার অন্যতম মেগা প্রকল্প ভৈরব নদের ওপর সেতু নির্মাণের কাজ। প্রকল্পের বরাদ্দ আর সময়সীমা বাড়ালেও কাজের অগ্রগতি নেই। নানা কারণেই প্রকল্পে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। যেখানে ২০২২ সালেই কাজ শেষ হওয়ার কথা, সেখানে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বেড়েছে। সেইসাথে বেড়েছে খরচও। তবে কাজের কাজ হয়নি তেমন।
প্রকল্পের কাজে স্থবিরতার প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে জমি অধিগ্রহণকে। নগরীর মহেশ্বরপাশা মৌজায় রেলওয়ে ও ব্যক্তি মালিকানাধীন সাত একরের অধিক জমি অধিগ্রহণ করার ক্ষেত্রে ব্যাপক জটিলতা তৈরি হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের দাবি, রেলওয়ে তাদের কাছে জমির মূল্য বাবদ ১২ কোটি টাকা দাবি করেছে। এই টাকা দিতে হলে নতুন বাজেট করতে হবে। তবে রেলওয়ে বলছে, সড়ক বিভাগের দাবি ভিত্তিহীন। তাদের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলেও অভিযোগ এসেছে।
সুনির্দিষ্ট জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় ওজোপাডিকো বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণ ও সড়ক বিভাগের জমিতে থাকা গাছপালার নিলাম প্রক্রিয়াও শুরু করা যাচ্ছে না। সওজের খুলনা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আসলাম আলী জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে জমি বুঝে না পেলে ভবিষ্যতে এটি আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে।
এক বছর আগে যমুনা টেলিভিশনকে প্রকল্প শেষের ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান মাসুদ। অথচ ১ দশমিক ৩৯৬ কিলোমিটার অত্যাধুনিক সেতু নির্মাণের সময়সীমা বেড়েছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। আর ৩০২ কোটি টাকার ব্যয় বাড়তে-বাড়তে শেষমেষ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬১৮ কোটিতে। তবুও এগোচ্ছে না এ মেগা প্রজেক্টের কাজ।
এসজেড/
Leave a reply