পশ্চিমাদের কাছ থেকে পাওয়া ট্যাংক পরিচালনায় ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) শুরু হওয়া ট্রেইনিং বেশ লম্বা সময় ধরে চলবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। যুদ্ধের এক বছরের মাথায় আবারও আগ্রাসী অভিযান চালাবে রাশিয়া, এ ঘোষণা এসেছে প্রকাশ্যেই। সেই হামলা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করতে জোরালো প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউক্রেন। খবর সিএনএন এর।
ইউক্রেনকে কানাডার দেয়া লেপার্ড-২ ট্যাংকের প্রথম দু’টি পৌঁছেছে পোল্যান্ডে। সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে ইউক্রেনীয় সেনাদের ট্যাংক পরিচালনার প্রশিক্ষণ। পশ্চিমা ১২টি দেশ থেকে সহায়তার প্রথম ধাপে ১২০ থেকে ১৪০টি ট্যাংক পাচ্ছে কিয়েভ। ফলে এসব পরিচালনায় জোরালো প্রশিক্ষণের প্রস্তুতি চলছে।
গোয়েন্দাদের দাবি, যুদ্ধের বর্ষপূর্তিতে রাশিয়ার আগ্রাসী হামলার প্রধান টার্গেট হবে দোনবাসের পূর্বাঞ্চল আর দেশটির দক্ষিণাঞ্চল। তাই ওই অঞ্চলের ফ্রন্টলাইনগুলোয় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এনিয়ে প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে বিশেষ কিছু করতে চায় দখলদাররা। প্রতিশোধ নিতে চায় তারা। এমন বহু খবর আমাদের গোয়েন্দাদের কাছে আছে। বিভিন্ন ফ্রন্টলাইনে এরই মধ্যে বাড়তি চাপে রয়েছে সেনারা। এখন দোনেৎস্কে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে। তবে যত কঠিনই হোক, আমাদের টিকে থাকতে হবে।
আগ্রাসন মোকাবেলায় সেনা ও সমরাস্ত্র নিয়ে যথাযথ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকোভ বলেন, সাহসিকতার সাথে দাবি করছি, ন্যাটোভুক্তদের মতোই এখন পর্যাপ্ত অস্ত্র আছে আমাদের। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও আছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের প্রশিক্ষণ শিবিরে আমাদের সেনারা প্রশিক্ষণ নেবে। আর কেবল যুদ্ধবিমান পাওয়াটাই বাকি। আমি আশাবাদী সেটিও দ্রুতই পাবো। মিত্ররা জানেন, আমাদের আকাশ সুরক্ষায় বিমান দরকার।
এদিকে, রণক্ষেত্রে উত্তেজনার মধ্যেই প্রতিরক্ষা বিভাগে রদবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন সামরিক গোয়েন্দা প্রধান কিরিলো বুদানোভ।
এসজেড/
Leave a reply