জেলেনস্কির ইউরোপ সফরে মিললো বড় রকমের ইঙ্গিত

|

ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ ইস্যুতে আসতে পারে বড় পরিবর্তন। এমন ইঙ্গিতই মিললো ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির ইউরোপ সফরে। রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান সরবরাহ করতে ইউরোপীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান জেলেনস্কি। জবাবে কিয়েভকে সহায়তা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয় ফ্রান্স ও জার্মানি। খবর এপির।

কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই আকস্মিক ইউরোপ সফরে গেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। শুরুতে যান যুক্তরাজ্যে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এবং রাজা চার্লসের সাথে বৈঠকের পর দেশটির পার্লামেন্টে ভাষণ দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। সেখানে আহ্বান জানান কিয়েভকে যুদ্ধবিমান সরবরাহের।

ভাষণে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, পশ্চিম এবং ইউরোপীয় মিত্ররা যেভাবে শুরু থেকে আমাদের সহায়তা করে আসছে তাদের প্রতি পুরো ইউক্রেনীয় জাতি কৃতজ্ঞ। তবে সময়ের সাথে সাথেই পাল্টে যাচ্ছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। এই মুহূর্তে আমাদের সবেচেয়ে বেশি প্রয়োজন তা হলো যুদ্ধবিমান। অত্যাধুনিক ফাইটার জেট পেলেই পাল্টে যাবে যুদ্ধক্ষেত্রের চিত্র।

এরপরই ফ্রান্সে যান জেলেনস্কি। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনের পাশাপাশি বৈঠক করেন সফররত জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের সাথে।

সেখানে জেলেনস্কি জানান, অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানই হতে পারে ইউক্রেনীয়দের মুক্তির চাবিকাঠি। এর আগে জার্মান-ফ্রান্সসহ অন্যান্য ইউরোপীয় মিত্ররা কিয়েভের যুদ্ধবিমানের আবেদন প্রত্যাখান করলেও ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেল চলতি সফরে। এবার আবেদন ফিরিয়ে দেয়া না দেয়া নিয়ে কোনো মন্তব্য আসেনি ইউরোপীয় নেতাদের তরফ থেকে। বরং জোর দেন রাশিয়াকে ঠেকাতে কিয়েভকে সব ধরনের সাহায্যের বিষয়ে।

বৈঠকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন বলেন, বিজয়ের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে ইউক্রেন। যেকোনো মুহূর্তে পরাজিত হবে রুশ বাহিনী। আমরা বুঝতে পারছি কৌশলগতভাবে আরও সহায়তার প্রয়োজন কিয়েভের। যেহেতু ইউক্রেনকে আমরা ইউরোপেরই অংশ মনে করি তাই সব ধরনের সহায়তাই করা হবে।

এরআগে ইউক্রেনকে আরও দেড় শতাধিক লেপার্ড ওয়ান ট্যাংক সরবরাহের ঘোষণা দেয় জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্ক। কিয়েভ সফরে গিয়ে এ ঘোষণা দেন জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply