আবারও ভূমিকম্পের আশঙ্কা তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে, উদ্বিগ্ন স্বেচ্ছাসেবক ও দুর্গতরা

|

ছবি: সংগৃহীত

আবারও ভূমিকম্পের আশঙ্কায় আতঙ্কিত তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দারা। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ধসের আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছেন স্থানীয়রা। ফলে, চাপ বাড়ছে শরণার্থী শিবিরগুলোতে। সেখানে গাদাগাদি করতে থাকতে হচ্ছে অনেক মানুষকে। ফলে আশঙ্কাজনক হারে ছড়িয়ে পড়ছে কলেরার মতো রোগ। এদিকে, সম্ভাব্য দুর্যোগ উদ্বেগ ছড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যেও। খবর আলজাজিরার।

এখনও তুরস্কের যেদিকে চোখ যায় সেদিকে শুধুই ধ্বংসস্তূপ, এরমাঝেই আবারও কেঁপে উঠলো দেশটির দক্ষিণাঞ্চল। একের পর এক আফটারশক তো রয়েছেই। তার ওপর ১৫ দিনের ব্যবধানে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার আরও একটি জোরালো ভূমিকম্প। এতে নতুন করে ভেঙে পড়েছে বেশকিছু ভবন। আরও বেশকিছু রয়েছে ধসে পড়ার আশঙ্কায়। ভয়ে আতঙ্কে এলাকা ছাড়তে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবীদের মাঝেও।

মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে নিযুক্ত ডব্লিউএফপির ডিরেক্টর কোরিন ফ্লেশার বলেন, নতুন ভূমিকম্প আমাদের কর্মী ও স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক তৈরি করেছে। নতুন নতুন ঘরবাড়ি ধসে পড়ছে। বর্তমানে আমরা আমাদের কর্মীদের সেফ হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করছি। কিন্তু তারা এতোটাই চিন্তিত যে, এ তীব্র ঠাণ্ডার মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে ঘরে থাকতে চাচ্ছে না। তাদের কাছে এখন বাইরে থাকাটাই বেশি নিরাপদ মনে হচ্ছে।

শতবছরের মধ্যে ভয়াবহতম ভূমিকম্পের ধাক্কা সামালতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে। এরমধ্যে দ্বিতীয় দফার দুর্যোগে বেড়েছে মানুষের চাপ। জায়গার অভাবে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটছে অনেকের। ফলে ছড়িয়ে পড়ছে কলেরার মতো রোগ।

ওসিএইচএ’র অপারেশনস এবং অ্যাডভোকেসি ডিভিশনের উপ-পরিচালক ঘাদা এলতাহির মুদাউই বলেন, লোকজন এই তীব্র শীতের মধ্যেও তাঁবুতে থাকছে। কেউ কেউ তাদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, কিন্তু সর্বশেষ ভূমিকম্পের পর সবাই আতঙ্কে আছে। আর বাড়ি ফিরে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না। এছাড়া নতুন করে ঘরবাড়ি ছেড়েছে আরও অনেকে। এদিকে, এরইমধ্যে কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।

এমন পরিস্থিতিতে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা ও মানবিক সহায়তা বাড়ানোর তাগিদ ‘জাতিসংঘ-ডব্লিউএইচও’র।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply