রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছরে চাঙ্গা বৈশ্বিক অস্ত্রের বাজার

|

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছরে চাঙ্গা হয়েছে বৈশ্বিক অস্ত্রের বাজার। এরমধ্যে, গত এক বছরে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেরই অস্ত্র বিক্রি বেড়েছে ৫ হাজার কোটি ডলারের বেশি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে প্রতিরোধ যুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্রেরই চাহিদা বেড়েছে বেশি। এরমধ্যে অন্যতম হাইমার্স রকেট সিস্টেম, সাজোয়া যান এবং ট্যাংক। এ অবস্থায় অস্ত্রের উৎপাদন বাড়াচ্ছে ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশ।

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ যেনো বহুজাতিক সমরাস্ত্রের এক উন্মুক্ত বাজার। রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করছে মস্কোবিরোধী দেশগুলো। কিয়েভের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেন-জার্মানি-কানাডা-ফ্রান্সসহ ৩০টিরও বেশি দেশ দিয়েছে এসব অস্ত্র। মার্কিন রকেট, ব্রিটিশ ট্যাংক, জার্মান হাউইটজার থেকে শুরু করে তুর্কি বায়রাক্তার ড্রোন, কী নেই লড়াইয়ের এ ময়দানে।

এরমধ্যে, যুক্তরাষ্ট্র পাঠাচ্ছে ৩০টির বেশি অ্যাব্রামস ট্যাংক। ১৪টি করে লেপার্ড ও চ্যালেঞ্জার ট্যাংক পাঠাচ্ছে জার্মানি এবং ব্রিটেন। ইতিমধ্যেই বড় ধরনের সাফল্য দেখিয়েছে মার্কিন রকেট সিস্টেম হাইমার্স। এর পাশাপাশি, ব্রিটেন থেকে পাঠানো দূরপাল্লার হাউইটজারও রয়েছে। এসব অস্ত্র সরবরাহের বাজেটও তাক লাগানোর মতো। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে ইউক্রেনে প্রায় ৬ হাজার ৫শ কোটি ডলারের সমরাস্ত্র পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে।

রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে এসব অস্ত্রের সফলতায় চাঙ্গা অস্ত্রের বাজার। এরইমধ্যে হাইমার্স, প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন অস্ত্রের চাহিদা বেড়েছে। শুধুই যুক্তরাষ্ট্ররই অস্ত্র বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি বেড়েছে ৫ হাজার ১শ কোটি ডলালের বেশি। ফলে অস্ত্রের উৎপাদন বাড়াচ্ছে বিভিন্ন দেশ।

এ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেন, ইউক্রেনকে সমরাস্ত্র সরবরাহের কারণে আমাদের নিজস্ব সরবরাহে ঘাটতি সৃষ্টি হচ্ছে। নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে হুমকিতে রেখে নিশ্চয়ই আমরা অন্য কোনো দেশকে সমরাস্ত্র সরবরাহ করবো না। তাই চাহিদা, উৎপাদন এবং সরবরাহের মধ্যে সমন্বয় রাখা জরুরি। এ কারণেই সমরাস্ত্র উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।

তবে, সমরাস্ত্র বাজারের তুরুপের তাস মনে করা হচ্ছে যুদ্ধবিমানকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইউক্রেনের সফরের পর অনেকটাই স্পষ্ট যে খুব শিগগিরই এফ-১৬ এর মতো অত্যাধুনিক ফাইটার জেট পাবে কিয়েভ। ফলে বাড়বে যুদ্ধবিমান বিক্রির হারও।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply