শেরপুরে নির্বিচারে ধ্বংস হচ্ছে শালবন ও পাহাড়; বন বিভাগের সম্পৃক্ততা ও মিথ্যা মামলার অভিযোগ

|

শেরপুর প্রতিনিধি:

শেরপুরে নির্বিচারে চলছে পাহাড় কাটা আর পাথর তোলার মহোৎসব। একইসাথে গারো পাহাড়ে কয়েক হাজার হেক্টর শালবাগান ধ্বংসের অভিযোগও উঠেছে। ব্যাপক এ ধ্বংসযজ্ঞের জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী ও বনবিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশকে দায়ী করছেন গ্রামবাসী। তাদের অভিযোগ, ঘটনা আড়াল করতেই শতাধিক নিরীহ সীমান্তবাসীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে বন বিভাগ।

শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার পাহাড়গুলোকে ঘিরে গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র। কিন্তু গত কয়েক বছরে নির্বিচারে পাহাড় কাটার কারণে সেখানকার প্রার্কৃতিক সৌন্দর্য এখন হুমকির মুখে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মাটির নিচে থাকা পাথর তুলতেই নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড় আর শাল গাছ। এতে হুমকির মুখে পড়েছে তাদের বসতি। এ অবস্থার জন্য বন বিভাগকে দুষছে তারা। বন কর্মকর্তারা প্রভাবশালীদের সাথে যোগসাজোশে অপকর্ম করছে বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় অভিযুক্ত বন কর্মকর্তার সাথে। তার দাবি, প্রশাসনকে জানিয়েই চলছে সবকিছু। অথচ ইউএনও বলছেন, এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না তিনি। তার দাবি, পাহাড় রক্ষার দায়িত্ব বন বিভাগের।

এ প্রসঙ্গে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আল মাসুদ বলেন, ইউএনও’র সাথে যোগাযোগ করেন। উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করেন। ওখান যে থেকে পাথর ওঠানো হচ্ছে সেটা ইউএনও জানেন। তাকে জিজ্ঞেস করুন।

আর, পাহাড় কাটা ও পাথর তোলার সাথে কোনো কর্মকর্তার জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস সহকারী বন কর্মকর্তার। শেরপুরের সহকারী বন সংরক্ষক আবু ইউসুফ জানান, আমাদের এখানে কোনো পাথর মহাল নাই। পাথর উত্তোলনেরও কোনো সুযোগ নাই। কেউ যাতে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন করতে না পারে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেবো।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply