উদ্যোগ ও পরিকল্পনার অভাবে মৌলভীবাজারের কমিউনিটি ট্যুরিজমে যুক্ত হয়নি বেশিরভাগ নৃ গোষ্ঠী

|

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় কমিউনিটি ট্যুরিজমের সকল সুযোগ সুবিধা থাকলেও উদ্যোগ ও পরিকল্পনার অভাবে পাইলট প্রকল্পের মধ্যেই আটকে আছে সম্ভাবনাময় এ খাত। বছর পাঁচেক আগে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মণিপুরী সম্প্রদায়ের ১০টি পরিবারকে যুক্ত করে যাত্রা শুরু করে সিলেট বিভাগের প্রথম কমিউনিটি ট্যুরিজম। বর্তমানে টিকে থাকা ৪টি পরিবার ব্যাপকভাবে লাভবান হলেও এখনও যুক্ত করা যায়নি অন্য ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর মানুষদের।

চা বাগান, হাওর, টিলার সৌন্দর্য্য উপভোগে প্রতিবছর মৌলভীবাজারে ভিড় জমান দেশ-বিদেশের হাজারো পর্যটক। এখানে বসবাসরত বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর জীবন ও বৈচিত্রের সাথে পর্যটকদের পরিচয় করিয়ে দিতে মনিপুরী জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করা হয়। এরপর ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু হয় কমিউনিটি ট্যুরিজমের। তবে খাসি, গারো, ত্রিপুরাসহ অন্যদের এ খাতে সস্পৃক্ত করার উদ্যোগ আটকে আছে পাইলট প্রকল্পে।

এ খাত বড় হলে প্রাকৃতিক পর্যটনের ওপর চাপ কমবে। আরও প্রচারণা ও অন্যান্য নৃ গোষ্ঠীর মানুষকে পুঁজি ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুক্ত করার আহ্বান খাত সংশিষ্টদের।

কমলগঞ্জ মনিপুরী কমিউনিটি ট্যুরিজমের পরিচালক নিরঞ্জন সিংহ রাজু এ প্রসঙ্গে বলেন, এখানে থাকার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। কারণ, ডে ট্যুর বা স্টাডি ট্যুরে আসে অনেকেই। কিন্তু, ৫০-৬০ জনকে রাখার মতো ব্যবস্থাও আমাদের নেই। তাদের জন্য ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

এদিকে, জেলা প্রশাসন বলছে, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর রক্ষণশীল স্বভাব ও পুঁজি স্বল্পতার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে কমিউনিটি ট্যুরিজম।

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, কিছু কমিউনিটি আছেই যাদের মধ্যে রক্ষণশীলতা কাজ করে। আবার অনেকেই আছেন যারা কাউকে ইনভাইট করতে চান না। তবে ইদানীং আমরা দেখতে পাচ্ছি যে কমিউনিটি ট্যুরিজমকে অনেকেই ইতিবাচকভাবে নিচ্ছেন। এরা সফল বা লাভবান হলে বাকিরাও উৎসাহিত হবেন কমিউনিটি ট্যুরিজমে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে কমলগঞ্জের চারটি মনিপুরী পরিবারে প্রায় ২০ জন অতিথি থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply