চারা রোপণের একমাসের মধ্যেই ফল আসছে গাছে। ফল গাছে আসা শুরুর পর বিক্রি করা যাচ্ছে তিন থেকে চার মাস অবধি। অন্য ফসলের চেয়ে লাভজনক হওয়ায় তাই এ বছর রাজশাহীতে বেশি জমিতে বাণিজ্যিকভাবে স্ট্রবেরি চাষ করছেন কৃষকরা। রাজশাহী কৃষি অফিস বলছেন, উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা ভালো থাকায় চাষিরা এই ফল চাষে ঝুঁকেছেন।
রাজশাহীর পবা উপজেলার কৃষক গোলাম মোস্তফা ১২ বছর ধরে স্ট্রবেরি চাষ করছেন। তিন বিঘা জমিতে ৬ লাখ টাকা খরচ করে ১২ লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছেন এবার। সেই সাথে চারা বিক্রি করছেন ৩ লাখ টাকার। এখনও গাছে রয়েছে ৫ লাখ টাকার স্ট্রবেরি।
মোস্তফার এমন সফলতা দেখে আশপাশের অনেকেই এই ফল চাষে ঝুঁকেছেন। নিচ্ছেন কৃষি অফিসের পরামর্শ। রোপণের একমাসের মধ্যেই ফল আসছে গাছে। সেই ফল পাওয়া যাচ্ছে তিন থেকে চার মাস।
একদিন পর পর বিঘা প্রতি প্রায় ৯০ কেজি ফল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ হাজার টাকায়। চাহিদা থাকায় জমি থেকে তুলে প্যাকেটজাত হয়ে সরাসরি চলে যাচ্ছে রাজধানীসহ সিলেট, চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজরে। পাইকারী ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে এই স্ট্রবেরি।
চাষিরা বলছেন, মাঘ মাসের শুরু থেকে ফল পাওয়া যাচ্ছে ফাল্গুন থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত। জমি থেকে একদিন পর পর স্ট্রবেরি তুলতে লাগছে ১০ থেকে ১৫ জন শ্রমিক। ৬ থেকে ৮ জন লাগে বাছাই করে প্যাকেটজাত করতে।
নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের মধ্যে স্ট্রবেরির চারা জমিতে রোপণ কতে হয়। এই সময়ের অন্যান্য ফসলের তুলনায় স্ট্রবেরি চাষ সহজ ও অধিক লাভজনক হওয়ায় কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আবদুল লতিফ বলেন, স্ট্রবেরি আসলে শীতকালীন ফসল। যদি সঠিক সময়ে আমরা চাষ করতে পারি তাহলে ফলন ভালো করতে পারব।
গত বছর রাজশাহী জেলায় ১২ হেক্টর জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করা হয়। এবার ১৪ হেক্টর জমিতে ৫০ মেট্রিক টন স্ট্রবেরি উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধারা হয়েছে।
এটিএম/
Leave a reply