রিয়াজ রায়হান:
এক লাফে দাম বেড়েছে ১৫-২৫ টাকা পর্যন্ত। মাছ, মাংস সবক্ষেত্রে একই অবস্থা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ক্যান্টিনগুলোতে সেহেরির খাবারের এমন উচ্চমূল্যে দিশেহারা শিক্ষার্থীরা। প্রথম ক’দিন এনিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেও এখন আর কথাই বলতে চান না কেউ। তবে ক্যান্টিন পরিচালকরা এ অবস্থার জন্য দায়ী করছেন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিকে।
সেহেরির সময় শেষ হতে তখনও ঘণ্টা দুয়েক বাকি। এরই মধ্যে হাজী মুহম্মদ মহসিন হল ক্যান্টিনে ভিড় বাড়তে শুরু হয়েছে শিক্ষার্থীদের। আগে আসলে তুলনামূলক ভাল খাবারটা হয়তো পাওয়া যাবে- এ আশায় এতো আগে সেহেরি সারতে গিয়েছিলেন তারা।
মহসিন হলের ক্যান্টিনের মূল্য তালিকার বরাতে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রমজানের শুরু থেকেই গরু, মুরগির মাংশ ও বিভিন্ন ধরনের মাছে দাম বাড়ানো হয়েছে ২৫ টাকা পর্যন্ত। যদিও সে হিসেবে মান বাড়েনি একদমই। শিক্ষার্থীদের ক্ষোভটা এ পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ক্যান্টিনের খাবারের দাম নিয়ে এখন আর ক্যামেরার সামনে কথা বলতেই বিরক্ত তারা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হল ক্যান্টিনগুলোকে কোন ধরনের ইউটিলিটি বিল প্রদান করতে হয়না। এরপরও সিন্ডিকেট করেই দাম বাড়িয়েছে ক্যান্টিন পরিচালকরা। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোজাদার শিক্ষার্থীরা। তবে, ক্যান্টিন পরিচালকদের যথারীতি দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির দোহাই।
মহসিন হল ক্যান্টিনের ব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেন বললেন, বাজারে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেশি, এটা আপনারা খুব ভালভাবেই জানেন। এমন তো না যে আমরাই শুধু দাম বাড়াচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হল, জসিম উদ্দিন হল, সূর্যসেন হলসহ প্রায় প্রতিটি হল ক্যান্টিনের চিত্র একই রকম। ক্যান্টিনে সেহেরিতে খাবারের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো প্রতিকার না পেয়ে সেহেরির খাবারের দাম কমানোর দাবিতে মাঠে নামতে হয়েছে তাদের।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২৯ মার্চ) পর্যন্ত এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
/এসএইচ
Leave a reply