মামলা-গ্রেফতারের পর আবারও তুমুল আলোচনায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বেড়েছে দলীয় জনপ্রিয়তাও। তবে অনেকেই বিরক্ত এসব নাটকীয়তায়। যা বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে ভোটের মাঠে। এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। অবশ্য বরাবরই বিতর্ককে প্রচারণার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন রিপাবলিকান এই নেতা। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
নিয়মিত বিরতিতেই আলোচনায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ছাড়িয়ে গেছেন অতীতের সব রেকর্ড। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফৌজদারি মামলার আসামি হয়ে গড়েছেন ইতিহাস।
মামলার কারণে মার্কিন সংবাদমাধ্যমজুড়েই এখন ট্রাম্প। কেউ কেউ বলছেন, ফৌজদারি মামলাকে নির্বাচনী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন এই রিপাবলিকান নেতা। অনেকের মতে, গোটা ইস্যুই পরিণত হয়েছে তার নির্বাচনী প্রচারের ইভেন্টে।
বিভিন্ন জনমত জরিপে, দলীয় মনোনয়নের দৌড়েও অন্যদের চেয়ে এগিয়ে এই টাইকুন। বিরোধী অনেক রিপাবলিকান নেতাই এখন অবস্থান নিয়েছেন তার পক্ষে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জেসন ভন বলেন, ট্রাম্প এই ইস্যুটিকে ব্যবহার করবেন। সে বুদ্ধিমান, নিশ্চিতভাবেই তার গ্রেফতার হওয়ার মুহূর্তের ছবি সে ব্যবহার করবে। এটাই হবে তার নির্বাচনী প্রচারণার মূল ভিত্তি। দলে, তার সমর্থন আগের চেয়ে বেড়েছে। সাধারণ ভোটারদেরও এভাবেই কাছে টানতে চাইবেন তিনি।
দলে জনপ্রিয়তা বাড়লেও সাধারণ নির্বাচনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে ট্রাম্পের এই কেলেঙ্কারি। জরিপে দেখা গেছে, সুইং স্টেটগুলোর অনেকেই বিরক্ত চলমান নাটকীয়তায়। আগের নির্বাচনে ট্রাম্পকে ভোট দিলেও এবার সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেন তারা।
অধ্যাপক জেমস স্যাম্পল বলেন, নিশ্চিতভাবেই এই ঘটনা আগামী নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে। সাধারণ নির্বাচনে এটি রিপাবলিকান পার্টিকে কিছুটা পিছিয়ে দিতে পারে। তার বিরুদ্ধে আরও বেশকিছু অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। মানুষ প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিশ্চয়ই এমন কাউকে চাইবে না।
যদিও কট্টর ট্রাম্প ভক্তদের ক্ষেত্রে এ ঘটনা কোনো প্রভাবই ফেলছে না। সাবেক প্রেসিডেন্টের সমর্থনে বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভও করছেন তারা।
ইউএইচ/
Leave a reply