চাঁদপুরে নামসর্বস্ব-ভুঁইফোঁড় পাঠাগারও পাচ্ছে সরকারি অনুদান

|

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত অর্থবছরে ২৪টি পাঠাগারকে প্রায় ১২লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। অথচ এসব পাঠাগারের অধিকাংশই নামসর্বস্ব ভুঁইফোঁড়। কয়েকটি পাঠাগারের সাইনবোর্ড ও কক্ষ থাকলেও নেই কোনও কার্যক্রম। সরকারিভাবে কোনও অডিট হলে তখন ধুয়ে-মুছে ফিটফাট করা হয়। এরপর আগের মতই চলে যাচ্ছেতাইভাবে। এসব নামকাওয়াস্তে চলা প্রতিষ্ঠান শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, চাঁপুরেরর একটি পাঠাগারেরর নাম সেবা উন্নয়ন পাঠাগার। কচুয়া উপজেলার কোয়া গ্রামের নাম ঠিকানা দেয়া হলেও অনেক খুঁজে সাইনবোর্ডটিও পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানিয়েছে, এখানে একটি সাইনবোর্ড ছিল যা এখন অতীত। স্টুডেন্ট ক্লাব ও পাঠাগার একই উপজেলার পালগিরি গ্রামে অবস্থিত। সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে পাকা ভবন উঠলেও ভেতরে বইয়ের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে পাশের পরিত্যক্ত রুমে নিয়ে কিছু বই দেখান। বলেন পাঠাগারের উন্নয়ন কাজ চলছে। দাবি, কমেছে পাঠক।

জাতীয় গণগ্রন্থাগার, সমাজসেবা ও জেলা গ্রন্থাগারের অধীনে নিবন্ধিত প্রায় অর্ধশত বেসরকারি পাঠাগার রয়েছে। প্রায় প্রতিবছর ঘুরে ফিরে এসব প্রতিষ্ঠানই বিভিন্ন দফতরে বরাদ্দ পেয়ে থাকে। আর সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে পাঠাগার নির্দেশনা পেলেই তা পরিদর্শন করা হয়। তখন সব ঠিক থাকলেও জনবল সংকটের কারণে অন্য সময়ে তা পর্যবেক্ষণে রাখা সম্ভব হয়ে উঠে না বলে জানান কর্তৃপক্ষ।

চাঁদপুর জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী লাইব্রেরিয়ান উম্মে রায়হান ফেরদৌস বলেন, আমরা যখন মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাই, তখন পরিদর্শনে যাই। আমরা যখন যাই তখন হয়তো তাদের কার্যক্রম সচল থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে কী অবস্থা হয়; তা আমাদের জানা নেই। কারণ, আমাদেরও জনবলের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ফলে তাদের সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা সম্ভব হয় না।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বেলন, অস্তিত্বহীন এসব পাঠাগারের বিরুদ্ধে খোঁজখবর নিয়ে সরকারি টাকা ফেরত নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

ভুঁইফোঁড় বা নামসর্বস্ব নয় সত্যিকারার্থে যেসব পাঠাগার নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করে সেসব প্রতিষ্ঠানই যেন সরকারি এসব অনুদান পায় বিষয়টি নিশ্চিত কাজ করার অনুরোধ সুশীল সমাজের।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply