আন্দোলন ও সান্ত্রাসী হামলায় চাপে ইসরায়েলি সরকার

|

প্যাঁচে পড়লো ইসরায়েলি সরকার। পবিত্র আল-আকসা মসজিদে মুসলিমদের দমন-পীড়ন করলেও থামাতে পারছে না দেশে চলমান অভ্যন্তরীণ আন্দোলন। সরকারের ভয়ভীতিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে শনিবার (৮ এপ্রিল) রাস্তায় নামেন লাখো ইহুদি। তাদের অভিযোগ, বিচার বিভাগীয় সংস্কার থেকে নজর ঘোরাতেই এসব ঠুনকো নাটক। এদিকে দুটি আলাদা হামলায় বিদেশিদের প্রাণ যাওয়ায় কিছুটা কোণঠাসা নেতানিয়াহু প্রশাসন। খবর রয়টার্সের।

সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা রয়েছে, সরকারের এমন হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও রাজধানী তেল আবিবের রাস্তায় নামেন পৌনে ২ লাখ ইসরায়েলি। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরেও হয় বিচার বিভাগীয় সংস্কার বাতিলের দাবিতে আন্দোলন। ক্ষুব্ধ ইহুদিদের বক্তব্য, বিক্ষোভ দমাতে না পেরেই, ফিলিস্তিনিদের ওপর চড়াও হওয়ার ঘৃণ্য পন্থা অবলম্বন করছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।

এক আন্দোলনকারী বলেন, গেলো কয়েকদিন যাবত ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে। আল-আকসা ঘিরেও উত্তেজনা চরমে। এমনকি রাজপথে না নামার জন্য উড়ো ফোনকল পেয়েছি।সরকার আমাদের ব্যবহার করেই আন্দোলন বন্ধ করতে চায়। কিন্তু নিরাপত্তা আর সংস্কার ভিন্ন ইস্যু।

চাপা উত্তেজনার মধ্যেই তেল আবিবের গাড়িতে চালানো হামলায় প্রাণ যায় এক ইতালীয় নাগরিকের। আরও ৫ পর্যটক আহত হয়। পৃথক হামলায় পশ্চিম তীরের বসতিতে প্রাণ গেছে দুই বোনের। তাদের ছিল ব্রিটিশ নাগরিকত্ব। বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোর জন্যেও ফিলিস্তিনিদের দায়ী করছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, শত্রুরা আবারও নিচ্ছে আমাদের পরীক্ষা। কিন্তু অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে বরাবর ইসরায়েলিরা ঐক্যবদ্ধ ও একরোখা। দেশ ও জনতাকে রক্ষায় আমরা একযোগে কাজ করবো। সন্ত্রাসীদের পাকড়াও করতে এখনও অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তা সদস্যরা। অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোটা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

আল-আকসায় পবিত্র রমজান মাসে অন্যায়ভাবে চালানো দমন-পীড়ন সহ্য করতে নারাজ ফিলিস্তিনিরা। ইহুদি সেনাবাহিনীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই আদায় করেছেন জুমার নামাজ। এবার রাত্রিকালীন অভিযানকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে পড়তে চান তারাবিহ্। গেলো সপ্তাহ থেকেই ইবাদতরত মুসল্লিদের ওপর বিনা কারণে চড়াও হচ্ছে ইসরায়েলি বহর।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply