রমজানে কোরআন তেলাওয়াতের জন্য জনপ্রিয়তা পেয়েছেন বিশ্বের যেসব ইমাম

|

রমজানে অন্যান্য ইবাদতের পাশাপাশি কোরআন পাঠের রয়েছে বাড়তি গুরুত্ব। কেউ নিজে পাঠ করেন, আবার কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় অন্যদের তেলাওয়াত শোনেন। আর তাই, পবিত্র এ মাসে সুমধুর কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াতকারীদেরও কদর বাড়ে। বিশেষ করে তারাবিহ’র নামাজে সুমিষ্ট কণ্ঠের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক ইমামই পেয়েছেন সুখ্যাতি।

ইমাম আহমেদ আল হারাসিস, তার সুললিত কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াতের সুখ্যাতি আছে গোটা জর্ডানজুড়েই। তার তেলাওয়াত শুনতে দূর-দূরান্ত থেকে আম্মানের আবদুল্লাহ বিন সালাম মসজিদে তারাবিহ’র নামাজ আদায় করতে আসেন অনেক মুসল্লি।

জর্দানের বাসিন্দা আহমদে ঈদ বলেন, আমার বাড়ি আর এই মসজিদের দূরত্বের মধ্যে আরও পাঁচটি মসজিদ আছে। কিন্তু ইমামের সুমধুর কণ্ঠস্বরে কোরআন তেলাওয়াত শুনতে আমি এই মসজিদেই আসি। এছাড়া আরও অনেক মুসল্লি এই মসজিদে আসেন নামাজ পড়তে।

ইমাম আহমেদ আল হারাসিস জানান, রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সুন্দর কণ্ঠের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। আবু মুসা আল আশআরি’র কণ্ঠকে হজরত দাউদ আলাইহিস সালামের কণ্ঠের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।

রমজানে মাসে অনেকেই আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় পবিত্র এ গ্রন্থ খতম দিয়ে থাকেন। এছাড়া, সুললিত কণ্ঠে কোরআন তেলওয়াত শুনেও সময় কাটান ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।

মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আহমেদের মতো অনেক ইমামই তারাবিহ’র নামাজে সুমধুর কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াতের কারণে পেয়েছেন ব্যাপক জনপ্রিয়তা। সামাজিক মাধ্যমের কারণে বিশ্বজুড়েই ছড়িয়ে পড়েছে অনেকের সুখ্যাতি।

একইভাবে কাতারের ইমাম শেখ হাইথাম আলদোখিনরও রয়েছে সুখ্যাতি। তিনি বলেন, মানুষ এখন এমন কাউকেই খোঁজে যে তার সুন্দর কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াত ও ব্যাখ্যা করতে পারে। যাতে আয়াতগুলো তাদের হৃদয়কে স্পর্শ করতে পারে।

ইসলাম ধর্মে সুমিষ্ট কণ্ঠে ও সঠিক উচ্চারণে কোরআন তেলাওয়াতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যাতে একজনের তেলওয়াত শুনে অন্যরাও পবিত্র এ গ্রন্থের প্রতি আকৃষ্ট হয়।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply