সুদানে সংঘাত; সব সেনাঘাঁটি দখল না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা

|

সুদানে সামরিক বাহিনীর দু’অংশের ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে আবারও অনিশ্চয়তায় বেসামরিক প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি। সব সেনাঘাঁটি দখল না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস। অন্যদিকে আরএসএফ’র সাথে কোনো ধরনের আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এ পরিস্থিতিতে চলতি বছর নির্বাচনের কথা থাকলেও চলমান সহিংসতায় দেখা দিয়েছে সংশয়। খবর রয়টার্স ও এপির।

সুদানে সাম্প্রতিক সংঘাতের শুরু আধা সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস-আরএসএফ’র ১ লাখ সদস্যকে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা ইস্যুতে। প্রস্তাবিত বেসামরিক সরকারের একীভূত সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব কারা করবেন তা নিয়ে তৈরি হয় বিবাদ।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আরএসএফ ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চালালে চরমে পৌঁছায় উত্তেজনা। যা রূপ নিয়েছে সংঘাতে। আগে সমঝোতায় আগ্রহ দেখালেও শনিবার ফেসবুকে প্রকাশিত বিবৃতিতে সুদানের সেনাবাহিনী জানিয়ে দিয়েছে আরএসএফ বিলুপ্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো আলোচনা নয়। শান্তি ও ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আরএসএফ।

আরএসএফ’র প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো বলেন, আমরা স্বাধীন ও স্বচ্ছ নির্বাচন চাই। সব মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। জনগণের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার ফিরিয়ে আনা। শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। অসততার কোনো স্থান এই প্রক্রিয়ায় নেই।

সুদানের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, সুদানের পরিস্থিতি ভঙ্গুর। বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়ার একটি ভালো সুযোগ তৈরি হয়েছে। সে প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আলোচনার মধ্য দিয়ে এগুনোর সুযোগ আছে।

২০২১ সালের অক্টোবরে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে, সামরিক জেনারেলদের কাউন্সিলের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে সুদানের শাসনক্ষমতা। ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। তার ডেপুটি হিসেবে কাজ করছেন আরএসএফের প্রধান, সাবেক মিলিশিয়া নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো। তিনি হেমেদতি নামে পরিচিত।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply