ডরোথি তাসরিন:
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চলতো চীনের গোপন পুলিশ স্টেশনের কার্যক্রম। দীর্ঘ তদন্তের পর এমন দাবি করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। তাদের ধারণা, বিশ্বের ৫৩টি দেশে এমন কমপক্ষে ১০০টি স্টেশন রয়েছে। মূলতঃ প্রবাসী চীনা নাগরিকদের ওপর নজরদারির লক্ষ্যে ব্যবহার করা হয় এগুলো। বেইজিংয়ের এজেন্ট হিসেবে কাজের অভিযোগে সোমবার (১৭ এপ্রিল) নিউইয়র্কে আটক করা হয় দু’জনকে। বিবিসির খবর।
নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে চায়নাটাউনের একটি ভবনে গোপন পুলিশ স্টেশন চালু করেছিল চীনা কর্তৃপক্ষ। এমন দাবি গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, এফবিআইয়ের। গেলো বছর বিষয়টি টের পেয়ে মার্কিন সিনেটকে অবহিত করে এই গোয়েন্দা সংস্থা। এরপর শুরু হয় তদন্ত।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোমবার আটক করা হয় ৬১ বছর বয়সী হ্যারি লু জিয়ানওয়াং ও ৫৯ বছর বয়সী চেন জিনপিংকে। জন্মসূত্রে চীনা হলেও দু’জনেরই রয়েছে মার্কিন নাগরিকত্ব। প্রকাশ্যে একটি অলাভজনক সংস্থার মালিক হলেও নিউইয়র্কে চীনের গোপন পুলিশ স্টেশন পরিচালনার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। এফবিআইয়ের তদন্তের বিষয়টি টের পেয়ে গত নভেম্বেরের দিকে বন্ধ করে দেয়া হয় কার্যালয়টি। বিভিন্ন ডিভাইস থেকে চীনা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের তথ্য প্রমাণও মুছে ফেলা হয়।
করোনাকালে চীনা নাগরিকদের ‘পরিষেবা কেন্দ্র’ হিসেবে চালু হয়েছিল কার্যালয়টি। তবে মার্কিন গোয়েন্দারা বলছেন, প্রবাসী চীনাদের ওপর নজরদারি করা হতো এই কেন্দ্রের মাধ্যমে। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে উইঘুর, গণতন্ত্রপন্থীসহ চীনের ভিন্ন মতাবলম্বীদের চাপ ও হুমকিধামকিও দেয়া হতো।
এফবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা ব্রেয়ন পিস বলেন, নিউইয়র্কের ভেতর এ ধরনের পুলিশ স্টেশন চালু করে তারা আমাদের সার্বভৌমত্ব বারবার লঙ্ঘন করেছে। এটা মেনে নেয়া হবে না। নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন শহরে চীনা অভিবাসীদের গতিবিধ পর্যবেক্ষণ করা হয় এসব সেন্টারের মাধ্যমে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২৫ বছর করে কারাদণ্ড হবে আটককৃতদের। আরও ৩৪ চীনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও চলছে তদন্ত। এফবিআইয়ের দাবি, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডসসহ ৫৩ দেশে চীনের এমন অন্তত ১০০টি অপারেটিং সেন্টার আছে। গত মাসেই কানাডার এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনেও উঠে আসে এ তথ্য।
আরও পড়ুন: ইতিহাসের সবচেয়ে উত্তপ্ত এপ্রিল পার করছে এশিয়া, ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য
/এম ই
Leave a reply