শুক্রবার (২১ এপ্রিল) বেলা বারোটা বাজার আগে থেকেই মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে। জুম্মার আজানের পরপরই কানায়-কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মসজিদ।
খুতবায় উঠে আসে ঈদ-উল-ফিতরের গুরুত্ব ও শিক্ষার কথা। সব ভেদাভেদ ভুলে যে সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের শিক্ষা দিয়ে গেলো রমজান, তা যেন সারাবছর থাকে, সে তাগিদ দেন জাতীয় মসজিদের খতিব।
রমজানের শেষ জুম্মায় দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় হয়েছে বিশেষ মোনাজাত। তীব্র তাপদাহ-ভ্যাপসা গরম, একের পর এক অগ্নিকাণ্ড, সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক নানা চ্যালেঞ্জ; মোনাজাতে আসে সব সংকট থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর রহমত কামনা। সেই সাথে পিতা-মাতা-স্বজনদের জন্য প্রার্থনা তো ছিলই।
ইতোমধ্যে লাখো মানুষ ঢাকা ছাড়লেও জুমাতুল বিদায় মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই জড়ো হয়েছিলেন বড় জামাতে এই রমজানের শেষ জুম্মার নামাজ আদায়ে। এ বছর রমজান শুরুও হয়েছিল শুক্রবার দিয়েই, তাই এবার রমজানে পাওয়া গেলো পাঁচটি জুম্মা। মুসল্লিদের বিশ্বাস, রমজানের শুক্রবারের ইবাদতের তাৎপর্য্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। আর জুমাতুল বিদা পালনের মধ্য দিয়ে পবিত্র রমজানকে এক বছরের জন্য বিদায় সম্ভাষণ জানালেন মুসল্লিরা।
/এমএন
Leave a reply