রুশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে ফিনল্যান্ড

|

রাশিয়ার আতঙ্কে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে ফিনল্যান্ড। মস্কোর প্রতিবেশি হওয়ায় ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই ফিনল্যান্ডও নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে। এরমধ্যে সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দেয়ার পর পুতিনের রোষানলে পড়েছে দেশটি। আর তাই রুশ সীমান্তে নিজেদের অংশে কাঁটাতারের বেড়া তৈরি করছে তারা।

মূলত, গেলো বছরই ন্যাটোতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারের ওপর নজর দেয় ফিনল্যান্ড। আনুষ্ঠানিকতা শেষে অবশেষে সেই কাজও শুরু হয়ে গেছে।

ফিনল্যান্ড বর্ডার গার্ডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ্যারি তলপানেন বলেন, পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে, রাশিয়ার প্রতিবেশি কোনো দেশই নিজেদের নিরাপত্তার সিদ্ধান্ত নিজেরা নিতে পারছে না। কেউ নিরাপত্তা নিয়ে ভাবলেই শুরু হচ্ছে যুদ্ধ। গেলো বছর এমনটা দেখার পরই ফিনল্যান্ড নিজেদের নিরাপত্তা কীভাবে আরও জোরদার করা যায় সে বিষয়ে ভাবতে শুরু করেছে। তারই অংশ হিসেবে এই প্রকল্প।

দুই দেশের মধ্যে ১৩শ’ ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত ২৭ দেশের মধ্যে যা সবচেয়ে দীর্ঘ। তবে, গুরুত্বপূর্ণ স্পর্শকাতর স্থানগুলোসহ দুইশ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে নির্মাণ করা হচ্ছে এ বেড়া। ইস্পাতের তৈরি বেড়াগুলোর উচ্চতা অন্তত ১০ ফুট। নজরদারির জন্য থাকবে নাইট ভিশন ক্যামেরাসহ নানা প্রযুক্তি।

জ্যারি তলপানেন আরও বলেন, বর্তমানে ফিনল্যান্ড-রাশিয়া সীমান্ত স্থিতিশীল রয়েছে। তবে, পরিস্থিতি যেকোনো মুহূর্তেই পাল্টে যেতে পারে। নিজদের সীমান্তের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ ফিনল্যান্ডের হাতেই থাকা উচিৎ। রাশিয়ার ওপর আমাদের নির্ভরশীলতা কমাতে হবে।

কাঁটাতারের এই বেড়া তৈরির আরেক লক্ষ্য অভিবাসীদের ঢল সামলানো। ফিনল্যান্ড বলছে, পুতিন যুদ্ধে যেতে বাধ্য করায় অনেক রুশ নাগরিকই দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে। তাদেরই অনেকেই ফিনল্যান্ড ঢোকার চেষ্টা করছে।

দুই দেশের মাঝে এতদিন ছিল নিচু তারের বেড়া। যা এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে প্রাণীদের চলাচল আটকাতে পারলেও মানুষ আটকাতে পারতো না। নতুন বেড়ার নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২৬ সালে। এজন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১৭ মিলিয়ন ডলার।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply