মালয়েশিয়ায় অভিবাসী শ্রমিক ইস্যুতে রাজকীয় তদন্ত কমিশনের দাবি

|

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া:

মালয়েশিয়ার ৫৮টি ট্রেড ইউনিয়ন সংস্থার শ্রম আইন সংস্কার জোট (এলএলআরসি) বলেছে, বিদেশি কর্মী নিয়োগ এবং মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির যোগসূত্র নিয়ে মালয়েশিয়ান দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত খুবই উদ্বেগজনক। সংস্থাটি রোববার কুয়ালালামপুরে এক অনুষ্ঠানে অভিবাসী কর্মী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির দুর্নীতি তদন্তের জন্য একটি রাজকীয় তদন্ত কমিশন (আরসিআই) গঠন করতে সরকারের নিকট দাবি জানিয়েছে।

এলএলআরসি’র সহ-চেয়ারম্যান আইরিন জেভিয়ার বিদেশি কর্মী ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রের দুর্নীতিকে ‘আতঙ্কজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেন, পুরো সিস্টেমটি (এফডব্লিউসিএমএস) খতিয়ে দেখার জন্য আরসিআই প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ব্যবস্থাপনার দুর্নীতি মোকাবেলায় আমাদের একটি সামগ্রিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। কেউ অভিবাসী শ্রমিকদের পণ্য হিসাবে বিবেচনা করে এ থেকে শুধু লাভবান হওয়া উচিত নয়।

নর্থ-সাউথ ইনিশিয়েটিভের নির্বাহী পরিচালক আদ্রিয়ান পেরেইরা বলেছেন, বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি নতুন কিছু নয়। যদিও সরকার গত কয়েক বছর ধরে অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়োগের প্রক্রিয়া উন্নত করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু একই রকম সমস্যা দেখা দিয়েছে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, আমরা দেখতে পাই শত শত অভিবাসী শ্রমিককে চাকরির নিশ্চয়তা ছাড়াই আনা হচ্ছে। এটা জঘন্য।

বিদেশি কর্মী রিক্রুটমেন্ট, এমপ্লয়মেন্ট এবং রেপাট্রিয়েশন বিষয়ে পাকাতান হারাপান-নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে ২০১৮ সালে গঠিত বিশেষ কমিটির প্রতিবেদনটি জনসম্মুখে প্রকাশ করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেন তিনি। বলেন, আমাদের সমস্যার মূল কারণ খুঁজে বের করতে হবে। না হলে বছরের পর বছর সমস্যা রয়ে যাবে।

এলএলআরসি’র অন্যান্য দাবিগুলো হলো- সরকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন বেতন ১৫০০ রিঙ্গিত নিশ্চিত করা, ২৫ শতাংশ বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি নিশ্চিত করা।

উল্লেখ্য, মালয়েশিয়া সরকার সে দেশের কর্মীদের ন্যায় অভিবাসী কর্মীদের সোশ্যাল সিকিউরিটি অর্গানাইজেশনের সদস্য করেছে, যা কর্মী ও কর্মীর পরিবারের আজীবন কল্যাণ নিশ্চিত করেছে।

/ইউএইচ/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply